আবদুল হালিম: ওসমানী নগর উপজেলার পশ্চিম কৈলনপুর ইউনিয়নের ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা মিসবাহ উদ্দিনের বসতভিটা দখলের জের ধরে গত ১৯ আগস্ট রবিবার রাত ৯ঘটিকার সময় স্থানীয় বড় হাজীপুর বাজারে সংঘর্ষে রক্তক্ষয়ী ঘঠনা ঘঠেছে।
ইউনিয়ন ওলামালীগ সভাপতি বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালায় একই গ্রামের বাসিন্দা সমছু মিয়ার ছেলে ওসমানীনগর থানা বিএনপি নেতা জিলাদ মিয়া তার সহযোগী সৎভাই আওয়ামীলীগ নেতা আখছার আহমদ, জেনেল, জগলু মিয়া, সুমন, আজফার এবং আক্তার মিয়ার সাত ভাই সহ ২০/২৫ জন লোক তারই জের ধরে ওলামালীগ সভাপতির দুই ছেলে মিনহাজ আহমদ ও মেহরাজকে রবিবার রাত ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার জন্য অতর্কিত হামলা করে।
পূর্ব পরিকল্পিত বেদড়ক মারধর করতে থাকলে এই সময় চিৎকার শুনে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী বাজারে একাধিক দোকানের মালিক সাবেক বিএনপির পদত্যাগী নেতা মধ্যস্থতা করতে আসলে তার উপর চড়াও হয়ে বেদড়ক পেটাতে থাকে ঐ বাহিনী।
এ সময় দোকানে ব্যবসারত অবস্থায় অন্য দুই ভাই এসে ওলামালীগ সভাপতির দুই ছেলের সাথে তার ভাগিনা রায়হান আহমদ ও এগিয়ে আসে শুরু হয় মুখোমুখি সংঘর্ষ ।
সংঘর্ষে আহত ১২জন গুরুতর আহত হন ওলামালীগের সভাপতির ছেলে মিনহাজ(৩১) তার সহোদর মেহরাজ(৩০) তার ভাগিনা রায়হান আহমদ(২৭) হোসাইন আহমদ (২৮) হাবিবুর রহমান (৩৭) আব্দুল আজিম (৪২)।
ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসিলে চিকিৎসা শেষে ওসমানী নগর থানার মামলার পরিপেক্ষিতে তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
মামলা নং-১২/১৩৯। এলাকার স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায় কিছু কতিপয় ব্যক্তি যোগসাজসে বিষয়টি সামাল না দিয়ে তাদের ফায়দা লুটার জন্য এবং স্থানীয় স্বার্থনেষী মহলের লোক বিষয়টিকে আওয়ামীলীগ বিএনপির লড়াই হিসেবে প্রচার করে আওয়ামীলীগ নেতা এবং প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়ার কুচক্রে লিপ্ত হচ্ছে।
উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধে টান টান ভাব যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টির মধ্যস্থতা করতে আসলে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হামিদ লেচু মিয়া প্রতিপক্ষ তার উপর এফ আই আর ভূক্ত মামলার আসামী করে তাকে হয়রানী করা হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরো পড়ুন– সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ৬৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম