আওয়ার ইসলাম: প্রতিবারের মতো এবারও লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে ও নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯১তম পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শহরের মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. হিফজুর রহমান খান।
রীতি অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শটগান দিয়ে ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। তিনটি জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে দু’টি তিন মিনিট আগে এবং শেষটি জামাত শুরু হওয়ার এক মিনিট আগে ছোঁড়া হয়।
ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে মাওলানা মো. হিফজুর রহমান খান দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়। চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাব ছাড়াও মাঠে দায়িত্ব পালন করে বিপুল সংখ্যক বিজিবি’র সদস্য। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে গেইট দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরারও ব্যবস্থা রাখা হয়। মাঠ ও আশপাশ এলাকার আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন। ড্রোনের মাধ্যমে মুসল্লিসহ সব কিছুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
১৮২৮ সালে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপর এ ঈদগাহ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। ওই বছর ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল এক লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমানে ‘শোলাকিয়া’ নামকরণ হয়েছে।
আরএম/