মাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত উপমহাদেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে এবারের ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাতে নিয়মিত ইমাম ইসলাহুল মুসলিহীন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ঈদের নামাজ পড়াবেন না। তিনি হজে যাওয়ায় ইমামতি করতে পারছেন বলে বিকল্প ইমাম হিসেবে মাওলানা হিফজুর রহমান খান জামাতে ইমামতি করবেন বলে জানা যায়।
এদিকে গত ঈদুল ফিতরের মতোও ঈদুল আজহার জামাতকে ঘিরেও শোলাকিয়া ময়দানে গড়ে তোলা হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির জন্য ২টি ড্রোন উড়বে শোলাকিয়ার আকাশে। বিজিবি, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, আরআরএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে। ঈদগাহ ময়দানের বাইরে- ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
জামাতকে সামনে রেখে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদগাহ ময়দান, আশেপাশের এলাকা এবং অলিগলিসহ মাঠ সংলগ্ন চারপাশের এলাকা নিয়ে আসা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আওতায়। মাঠে স্থাপন করা হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হবে ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে আরো অন্তত কয়েক দফা মেটাল ডিটেক্টরে মুসল্লিদের দেহ তল্লাশি করা হবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা বা কোনো ধরণের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। শুধু পাতলা জায়নামাজ নিয়ে তারা আসতে পারবেন। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোন ঝুঁকি দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ঈদজামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠের বাইরে, মাঠের ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে শোলাকিয়া ময়দান ও আশপাশের এলাকা। মাঠের ভিতর-বাহিরে সাদা পোশাকেও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান। সার্বিক প্রস্তুতির বিবেচনায় নির্বিঘ্নে শোলাকিয়ায় মুসল্লিগণ ঈদুল আজহার জামাত আদায় করতে পারবেন বলে পুলিশ সুপার আশা প্রকাশ করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তাসহ সব দিক বিবেচনায় রেখে দেশের এই সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীন ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানকে ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ঈদের দিন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
পরিবর্তনের পর কাবা শরীফের পুরোনো গিলাফটি কী করা হয়?
আরএম/