আওয়ার ইসলাম: বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খায়রুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে তিনজন পুলিশ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কুচিয়ামারি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
খায়রুল ইসলাম গাবতলীর রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি গ্রামের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে তিনি নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমার ছেও গ্রামে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানায়, খায়রুলের বিরুদ্ধে থানায় চারটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার জানান, গতকাল রাতে একদল টহল পুলিশ সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ স্টেশন বটতলা থেকে গাবতলীর আটাপাড়া সড়কে টহল দিচ্ছিল। রাত প্রায় আড়াইটায় দিকে ওই সড়কের কুচিয়ামারি সেতু এলাকায় খায়রুলের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজনের একটি ডাকাত দল কয়েকটি গাছ কেটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ওসি আরও জানান, বিষয়টি বুঝতে পেয়ে টহল পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতদল এলোপাতারি গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) আওয়াল ও হাবিব নামের তিনজন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও পাল্টা পাঁচটি গুলি ছোঁড়ে। এতে খায়রুল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে রাত ৩টা ২০মিনিটে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২০মিনিটে খায়রুল মারা যান।
ময়নাতদন্ত শেষে খায়রুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হযেছে বলে জানান গাবতলী মডেল থানার ওসি।
ব্যবসার জটিলতা দিয়ে দিন বিসফটিকে (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন
আরএম/