আওয়ার ইসলাম: ইরাকের স্যান্ড রিভার বা বালুর নদী বরাবরই একটি রহস্য। রুক্ষ মরুভূমির ভেতর দিয়ে সাদা 'বালু'র প্রবাহ বয়ে যাওয়ার ভিডিও ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। ভিডিওটি ধারণ করা হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে।
এটিকে প্রকৃতির এক নতুন আবিষ্কার চিন্তা করা হলেও এর পেছনে বৈজ্ঞানিক রহস্য রয়েছে। ইরাকে এই নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেকে এটিকে বালুর স্রোত বললেও বিজ্ঞানীরা তা মানতে নারাজ।
তবে প্রকৃতপক্ষে এটা বালুর নদী না। অর্থাৎ বয়ে চলা বস্তু আসলে বালু নয় বরং, বরফ শৈলী।
মধ্যপ্রাচ্যের আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম, বিশেষ করে ইরাকের। গ্রীষ্মে প্রচণ্ড উত্তাপ আর শীত কালে পরিস্থিতি ঠিক উল্টো, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। ইরাকে বৃষ্টি হয় কালেভদ্রে। তবে ওই বছর টানা বৃষ্টি এবং ঝড় হয় ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান ও সৌদি আরবে।
এই প্রবল বর্ষণে খানিকটা পানি ইরাকের মরুভূমিতে আটকা পড়ে। ধারণা করা হয়, সেই পানি জমাট বেঁধে বরফে রূপ নেয়। ওই বরফেই মরুভূমির ভেতর দিয়ে এভাবে প্রবাহিত হয়। যেটাকে স্থানীয়রা নাম দেয় স্যান্ড রিভার বা বালু নদী।
তবে অনেকেই একে শিলাবৃষ্টির পর বয়ে যাওয়া শিলার স্রোত বলে মনে করেন। তবে এই মতামতটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। এত প্রচুর পরিমাণে শিলা তৈরি হওয়া ও বয়ে যাওয়ার জন্যেও দরকার নির্দিষ্ট আবহাওয়া, যেটা ইরাকে থাকে না।
তাই মরুভূমির ভেতরে এত বরফের প্রবাহ কীভাবে এলো, এই রহস্য পুরোপুরি উন্মোচন হয়নি আজও।
https://www.facebook.com/KalkiOnline/videos/521843084642115/
ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয় (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: নীল নদের কাছে খলিফার চিঠি…
আরএম/