আওয়ার ইসলাম: ১০ আগস্ট ১৮ শুক্রবার, বিকাল ৩ টা থেকে খিদমাহ'র অস্থায়ী কার্যালয় মারকাযুল হিদায়া সিলেট-এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান কফিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কুরআন কারীমের তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করেন খিদমাহর উপদেষ্টা ও মারকাযুল হিদায়া সিলেটের নির্বাহী পরিচালক মুফতি নূরুযযামান সাঈদ।
আলোচনা পেশ করেন জামেয়া কাসিমুল দরগাহ হযরত শাহজালাল রহ. সিলেটের মুহতামিম ও খিদমাহ'র সম্মানিত উপদেষ্টা মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ শাখার পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি এডভোকেট শাহীনূর পাশা চৌধুরী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন'র ২২ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, সমাজসেবক এডভোকেট গিয়াস উদ্দীন, মাওলানা কাজি মাশুক আহমদ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সিলেট জোনের জি. এম ও ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মসহুর আলম মুন্না, আল হাসানাহ রক্তদান সোসাইটি'র পরিচালক মাওলানা যাকারিয়া যাকি, আইকন ফাউন্ডেশন'র চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, অরুণোদয় সংস্থার পরিচালক শ্রী অভিজিত রায়, বুস্টার গ্রুপের এডমিন সাগর আহমদ প্রমূখ।
এছাড়াও খিদমাহ'র ১০ টি শাখার পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা রক্তের প্রয়োজনীয়তা ও রক্তদানের উপকারিতা বিষয়ে আলোচনা করে বলেন, রক্তদান অনেক বড় মহত কাজ। অনেক সময় এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজনে জীবন হারাতেও হয়।
একজন মানুষের জীবন রক্ষা করা সকল মানুষের জীবন রক্ষা করার মত মহত কাজ। বক্তারা খিদমাহ'র বিগত দু'বছরের সাফল্য ও বহুল কাজের ভূয়সী প্রসংসা করেন। আগামীর দিনগুলো যেনো খিদমাহ তার লক্ষপানে এগিয়ে যায় এজন্য দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা পেশ করেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২ বছরে খিদমাহ ৩০ টিরও অধিক রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে। রক্তদান করা হয়েছে প্রায় ৫০০ জনকে। জনসচেতনতা তৈরিতেও কাজ করে যাচ্ছে।
৩য় বর্ষে পদার্পণের এই শুভমুহূর্তে খিদমাহ'র কাজকে আরো সুসংহত ও গতিশীল করতে খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক চলতি আগস্ট মাসকে 'দাওয়াতী মাস' হিসেবে গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে,
০১. জনসচেতনতা তৈরির লক্ষে লিফলেট বিতরণ।
০২. রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিং
০৩. সদস্য/ডোনার সংগ্রহ
০৪. আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
০৫. পরিচিতি বিতরণ
০৬. প্রত্যেক শাখাকে আরো মজবুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ
০৭. সরকারি নিবন্ধনের ব্যবস্থাগ্রহণ।
০৮. জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে র্যালী বের করা।
০৯. খিদমাহর নাম ও লোগো সম্বলিত টি-শার্ট তৈরি।
১০. শিক্ষা সফরের আয়োজন।
১১. ওয়েবসাইট তৈরি করা। ইত্যাদি।
ইতোমধ্যে ৩ টি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। আলোচনা সভা, টি-শার্ট এবং ওয়েবসাইট তৈরি।
এছাড়াও আজ ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিং হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলে।
মেহমানবৃন্দের আলোচনা শেষে ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যেমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া।
[ব্যবসার যাবতীয় কাজ সহজ করতে এলো বিসফটি। এখনই রেজিস্ট্রেশন করুন বিসফটি।]
-আরআর