আওয়ার ইসলাম: গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেছেন, কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যাকারী থেকে উম্মাতকে বাঁচানোর দায়িত্ব আলেম ওলামাদের। মাওলানা সা'দ কান্ধলভীর আপত্তিকর মতবাদ জাতির সামনে স্পষ্ট। রাসুল সা. এর উত্তরসূরি হিসেবে ওলামায়ে কেরামদের দায়িত্ব সাধারণ মানুষদের সেই বিভ্রান্তিকর মতবাদ থেকে ফিরিয়ে রাখা। সঠিক পথ বাতলে দেওয়া। এজন্যই আজকের ওয়াজাহাতি জোড়ের আয়োজন।
৮ আগস্ট (বুধবার) গওহরডাঙ্গা মাদরাসা ও গোপালগঞ্জ জেলা ওলামায়ে কেরাম এবং তাবলীগের সাথীদের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজাহাতি জোড়ে গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন সাহেব এসব কথা বলেন।
মুফতি রুহুল আমীন বলেন, বাংলাদেশের সকল মসজিদে বিশেষ করে দক্ষিণ বঙ্গে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ চলবে কাকরাইল মারকাজ এবং আলেম ওলামাদের তত্ত্বাবধানে। এর বাইরে কোন কাজের সুযোগ নাই। এসময় সকলকে এই সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
কাকরাইল মারকাজের মুরুব্বি ও শুরার সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনাত শুরু হয়েছে হযরতযী মাওলানা ইলিয়াস রহ. এর হাত ধরে। বাংলাদেশে কাজের গোড়াপত্তন করেছেন হযরত ছদর ছাহেব হুজুর রহ. । এ মেহনতকে পরিচালনা করেছেন মাওলানা আব্দুল আজিজ রহ.। তিনি তার বক্তব্যে আলেম ওলামাদের তত্ত্বাবধানে এই মেহনাতকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ওয়াজাহাতি জোড়ে আরো বক্তব্য রাখেন, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মুফতি আব্দুর রউফ, জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি মুফতি মনসূরুল হক, গওহরডাঙ্গা বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল হক, মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, জয়েন্ট সেক্রেটারি ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রধান মুফতি মুফতি নুরুল ইসলাম বাহিরদিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আকরাম আলী (ধলা হুজুর), কোর্ট মসজিদ মাদরাসার মুফতি হাফিজুর রহমান, চন্ডিবদ্দী মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আলী আহমদ চৌধুরী, খাদেমুল ইসলামের মুফতি মোহাম্মদ তাসনীমসহ প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের সাথীরা।
ওয়াজাহাতি জোড় পরিচালনা করেন, মুফতি মোরতাজা হাসান, মুফতি শুয়াইব, মাওলানা আতাউর রহমান। ওয়াজাহাতি জোড় থেকে ঢাকার ওয়াজাহাতি জোড়ের সিদ্ধান্তের সাথে একত্মতা পোষণ করে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
তাবলিগ বিষয়ে মোহাম্মদপুরের ওয়াজাহাতি জোড়ে ৬ সিদ্ধান্ত
আরএম/