আবদুল্লাহ তামিম
আওয়ার ইসলাম
চলছে পবিত্র হজের মৌসুম। আল্লাহ পাগলেরা লাব্বাইক বলে মুখরিত করছে সৌদির আকাস বাতাস। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত তাৎপর্যপূর্ণ স্থান আরাফাতের ময়দানে। জাবালে আরাফায় হজের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পালন করা হয়। আরাফার সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পবিত্র নগরী মক্কা থেকে ১৩-১৪ কিলোমিটার পূর্বে জাবালে রহমতের পাদদেশে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত আরাফাতের ময়দান অবস্থিত। এর দৈর্ঘ এবং প্রস্থ যথাক্রমে দুই কিলোমিটার।
ঐতিহাসিক এ ময়দানটি তিন দিকে পাহাড়বেষ্টিত। এ ময়দানের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে রয়েছে মক্কা-হাদাহ-তায়েফ রিং রোড। এ রোডের দক্ষিণ পাশেই আবেদি উপত্যকায় মক্কার ঐতিহাসিক ‘উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়’ অবস্থিত।
উত্তরে সাদ পাহাড়। সেখান থেকে আরাফাতের ময়দানের সীমানাও প্রায় ১ কিলোমিটার। সেখান থেকে দক্ষিণে গিয়ে মসজিদে নামিরায় আরাফাতের ময়দানের সীমানা শেষ হয়েছে।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আরাফাতের দিনের চেয়ে বেশি আর অন্য কোনো দিনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে (জাহান্নামের) আগুন হতে মুক্তি দেন না। এদিন তিনি (বান্দার) নিকটবর্তী হন এবং তাঁর ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করতে থাকেন, এই মানুষগুলো কি চায়? (মুসলিম)
হজরত আদম আলাইহিস সালাম ও হওয়া আলাইহিস সালাম জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আসার পর পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে তারা একে অপরকে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে আল্লাহর রহমতে তাঁরা আরাফাতের এ স্মৃতিবিজড়িত ময়দানেই পরস্পর মিলিত হন।
বাইতুল্লাহ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া সাঈ’র পর নির্ধারিত তারিখেই আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করতে একত্রিত হন। সেখানে বিশ্ব মুসলিমের হেদায়েতের মূলমন্ত্র হজের খুতবা পড়া হয়। সে খুতবার দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বের প্রতিটি অঙ্গনে অঙ্গনে।
সমগ্র মুসলিম উম্মাহ পাপমুক্ত জীবন লাভে এ ঐতিহাসিক সম্মিলন প্রান্তরে কান্নাকাটি করেন। চোখের অশ্রুতে বুক ভাসান হজে আগত সব হাজিগণ। তাদের হৃদয় ও মন দিয়ে আল্লাহ তায়ালাকে উপলব্দি করার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন, আল-আরাবিয়া ।
আরও পড়ুন: কোথায় নামাজ পড়লে কত সওয়াব?
ব্যবসার হিসাব এখন খুব সহজে, ক্লিক বিসফটি
আরএম/