আওয়ার ইসলাম: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ‘তুরস্ক কারো হুমকির ভাষাকে তোয়াক্কা করে না।’ ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসনকে ঘিরে তুরস্ককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির পর গত বুধবার আঙ্কারায় এরদোগান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এরদোগান বলেন, ‘আমাদের হুমকি দিয়ে কেউ কোনো দিন কিছু অর্জন করতে পারেনি। আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি সবচেয়ে বেশি সংহতি দেখিয়েছি। কোরিয়া যুদ্ধের সময়ও আমরা তাদের সাথে ছিলাম। তুরস্কের জন্য এ রকম অপমানজনক ভাষার হুমকিকে বিবেচনায় নেয়া ঠিক হবে না যেখানে আমরা ন্যাটোর প্রতি সর্বোচ্চটা দিয়েছি। আমাকে ক্ষমা করুন, কিন্তু এরপরও আমরা এমন হুমকিকে তোয়াক্কা করব না।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিষ্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্য থেকে তুরস্কে এসেছিলেন এবং সেখানে দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বসবাস করে আসছেন। তাকে কুর্দিস্থান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সাথে যোগাযোগ রার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সেই সাথে ফেতুল্লাপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠন (ফেতুর) সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই সংগঠনকে আঙ্কারা ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে।
ব্রুনসনকে তুরস্ক দীর্ঘ ২১ মাস আটক রাখার পর গত জুলাই মাস থেকে তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। তার মুক্তির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সাথে বারবার যোগাযোগ করে আসছে।
এরই অংশ হিসেবে গত ২৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসনকে দীর্ঘ সময় ধরে আটক রাখার কারণে তুরস্ক বড়সড় নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।’ তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গত ৩০ জুলাই এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যে ভাষায় হুমকি দিয়েছে তা অসম্মানের এবং অগ্রহণযোগ্য।
এদিকে, ্এ ঘটনায় তুরস্কের বিচারমন্ত্রী আবদুলহামিত গুল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লুর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।
আরও পড়ুন: যাজককে আটকের প্রতিবাদে দুই তুর্কি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি যুক্তরাষ্ট্রের