আওয়ার ইসলাম: নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীসহ বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গত ২৮ জুলাই থেকে চলে আসছে, তাদের এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে বাংলাদেশ আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরাম।
বাংলাদেশ আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
বিবৃতিত বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আজ গোটা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রতিনিয়ত ঘাতক চালকের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ। রাজিব দিয়াদের মত হাজারো সন্তানের মার বুক খালি হচ্ছে দিনকে দিন।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সন্তানের বাবা-মার আহাজারীতে আজ সবুজ বাংলার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সড়কে যত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে তা গণহত্যার শামিল। গণপরিবহন দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে, মেয়াদউত্তীর্ণ গাড়ি, লাইসেন্সবীহীন চালক, অস্বাভাবিক গতি, বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা, ট্রাফিক আইন অমান্য এত এত অনিয়মের বিরুদ্ধে আজ ছাত্র সমাজ বই ফেলে রাস্তায় নেমে এসেছে। যে কাজ এত বছর ধরে প্রশাসন করতে পারেনি তা এই কিশোর তরুণ তরুণীরা করে দেখিয়েছেন।
একটি সভ্য দেশের নিরাপদ ট্রাফিক আইনের উজ্জ্বল নমুনা তারা করে দেখিয়েছে। মনে পড়ে শুকান্তের সেই অমর কবিতার লাইনটি “এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।”
একাত্তরে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা। একটি নিরাপদ আবাসভূমি গড়ার যে স্বপ্ন এ দেশের মানুষ দেখেছিল আজ তা এইসব ঘাতক চালক, পরিবহন মালিক শ্রমিক সিন্ডিকেট, আইন অমান্যকারী জনগণের জন্য পণ্ড হতে চলেছে। তাই একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরাম এই ন্যায়সংগত আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে।
বিবৃতিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে মাওলানা মাকনুন বলেন, গণ পরিবহনের এইসব অনিয়ম দুর্নীতিরোধে মাদকবিরোধী অভিজানের মত আরেকটি অভিজান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করার দাবিও জানান তিনি।
মসজিদে মসজিদে নামাজের পর নিহতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দুআ করার আহ্বান জানান মাওলানা মাকনুন।
বাস নেই সড়কে; রিক্সা ভাড়ায় নৈরাজ্য
নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও
-আরআর