আলী হাসান তৈয়ব
আলেম ও লেখক
হারামের ইমামদের মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয়কণ্ঠ শায়খ ড মাহের মুআইকিলি। গতবার অনেকগুলো নামাজে সিক্ত হয়েছি তাঁর আর্দ্র সুরে।
পরশু মক্কায় পৌঁছে হারামে প্রথম সালাত ছিলো এশা। ইকামাতের পর কাতার সোজা করার আদেশ শুনতেই আনন্দের শিহরণ বয়ে গেল। এ যে প্রিয়তম স্থানে প্রিয়তর স্বর! তারপর মুগ্ধতার তেলাওয়াতে সিক্ত হওয়া।
গতকাল আর আজ ফজরও নামাজ পড়ালেন তিনি। সুবহানাল্লাহ। লা তাসআল আন হুসনিহিন্না। আরবি না বোঝা হাজিরাও কেঁপে উঠলেন, কেঁদে উঠলেন। এ যেন প্রিয়তমকে হারানোর পর সহসা তাকে ফিরে পাওয়া। পাপের পঙ্কে দীর্ঘ হাবুডুবুর পর আল্লাহর রশি ধরে আল্লাহকে খুঁজে পাওয়া।
আয়াত সিলেকশনও কী চমৎকার! ‘যখন ইবরাহিম কাতর মিনতি জানালেন, হে রব, আপনি এ শহরকে নিরাপদ বানান আর এর অধিবাসীদের আহার করান ফলফলাদি।’
এটা গতকাল ফজরের কথা। আজ পড়লেন- ‘আর তোমরা আবর্তন করো প্রাচীনতম গৃহকে কেন্দ্র করে।’
জীবন্ত তেলাওয়াত কাকে বলে! গুন্নাহ কী সুন্দর! মদ্দ কী মধুশ্রাবী! ক্বলক্বলাগুলো কী পরিষ্কার! ঢেউ তোলা, শিহরণ জাগানো, অশ্রু ঝরানো- বিশেষণবাক্য অক্ষম এর সুষমা তুলে ধরতে। হারামের সাউন্ড সিস্টেমও তুলনারহিত।
খুব কাছে থেকে দুবার দেখা হলো। দুকাতার পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া হলো। মাহেরে মোহিত ‘প্রতিটি দূর জনপদ’ থেকে লাখো লাখো হাজি সাহেবান।
বন্ধু, আপনারও হোক চেতনার নবোদয়। আপনার হৃদয়েও ঝড় তুলুক বাইতুল্লাহর ভালোবাসা। আপনিও কেঁপে উঠুন, কেঁদে উঠুন। সাড়া দিন পাঁচ হাজার বছর আগে দেওয়া ইবরাহিমি আজানে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে তৃতীয় বলে কিছু নেই, আমাদের লক্ষ্য প্রথম: গাজী আতাউর রহমান
-আরআর