আওয়ার ইসলাম: নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কোন ক্ষমতা বলে মন্ত্রী পদে থেকে এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনে কার্যকরী সভাপতি রয়েছেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রেজিস্ট্রি ও ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় তফসিলের ১৪৮ ধারা মতে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।
শ্রমিক যদি কোনো সমস্যা বা অপরাধে জড়িত থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন। আপনি একজন মন্ত্রী হওয়ার পরও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি দায়িত্ব পালন করায় সাংবিধানিক এবং নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।
নোটিশে সংবিধানের ১৪৮ ধারা মোতাবেক ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারিতে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তার পরেও কোন ক্ষমতা বলে একটি সাংবিধানিক পদে থেকেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন।
একই সঙ্গে সাংবিধানিক পদে থাকা কেন বেআইনি ও নৈতিকতা বিরোধী হবে না তা এ নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। তাদের কথায় কেন পদত্যাগ করব? অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীরা তো আমার পদত্যাগ চায়নি। তাদের ৯ দফা দাবির কোথাও আমার পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ নেই।
গত রবিবার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্রছাত্রী নিহত হন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। বুধবার চতুর্থ দিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাকার পর চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
গত কয়দিন ধরেই তারা রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে তাদের দাবি পক্ষে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: উদাহারণ সৃষ্টি করল কিশোররা, ঢাকার রাজপথে ‘ইমারজেন্সি লেন’!
আরএম/