আওয়ার ইসলাম: যুবলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের আকুয়া এলাকায় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মহানগর যুবলীগের সদস্য সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ ওরফে আজাদ শেখকে (৪০) গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে শহরের আকুয়া হাবুন বেপারির মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এরআগে সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা শুরু হয়। এঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর যুবলীগ কর্মীরা হাসপাতালের সামনে দু’টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ১৫/১৬টি ইজিবাইক ভাঙচুর এবং আকুয়া এলাকায় একটি বেকারিতে অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর যুবলীগের সদস্য সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ ও যুবলীগ সদস্য শেখ ফরিদের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় দু’মাস ধরে সংঘর্ষ, গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়াপাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে আকুয়া হাবুন বেপারী মোড় সংলগ্ন আজাদ শেখের বাড়ির এলাকায় আজাদ বাহিনীর সাথে যুবলীগের সদস্য শেখ ফরিদের সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষের ৩০/৪০ জন সমর্থক দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে পুলিশের সামনেই দু’পক্ষ বেপরোয়াভাবে গোলাগুলি করতে থাকে। বিকেল তিনটার দিকে প্রতিপক্ষরা আজাদ শেখকে বাসার কাছে গুলি ও কুপিয়ে আহত করে।
পরিবারের সদস্যরা গুরুতর জখম অবস্থায় আজাদ শেখকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসামের নাগরিকদের গুলি করে তাড়ানোর হুমকি