আবদুল্লাহ তামিম: তিন সিটির নির্বাচন শেষে রাজশাহী বরিশালে আওয়ামী লীগের জয় হলেও সিলেট গেছে বিএনপির দখলে। ভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে তিন সিটিতেই ভোট বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার দুপুর সাড়ে এগারটার দিকেই এক সংবাদ সম্মেলন করে বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ওবায়দুর রহমান মাহবুব নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৪২৩ টি। সিলেটে ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান হাতপাখায় ভোট পেয়েছেন ২১৯৫। তিনিও কারচুপি ও নানা অসঙ্গতির কারণে ভোট বর্জন করেন।
রাজশাহীতে শফিকুল ইসলাম হাতপাখায় ভোট পেয়েছেন ৩০২৩টি।
রাজশাহীতে ১৩৮টি কেন্দ্রের সবকটির বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এক লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৯২ ভোট।
বরিশালের ১২৩ ভোট কেন্দ্রের ৯৯টির বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৪০ ভোট।
বিএনপির মজিবর রহমান সারোয়ার পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৬৭ ভোট। ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ায় বরিশালের ১৬টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত ও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব কেন্দ্রে যত ভোট রয়েছে তার চেয়েও বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সাদিক আবদুল্লাহ। তাই বরিশালেও দলটির জয় নিশ্চিত।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৪। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৮৯৬ হাজার ভোট। অপরদিকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। এর ফলে কামরানের চেয়ে ৫ হাজার ২৬ ভোট বেশি পেয়ে সিলেটের মেয়র হলেন আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেটে নির্বাচন বর্জন করলেন ইসলামী আন্দোলনের পার্থী