বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নির্বাচনী চাপ প্রয়োগে সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা গাদ্দারীর সমতূল্য’ কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ওয়াকফ আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী নির্দেশিকার পথে সুপ্রিম কোর্ট নতুন শিক্ষাবর্ষে ইলমপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হাটহাজারী মাদরাসা ক্যাম্পাস ওয়াকফ আইন নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা: মাওলানা আরশাদ মাদানি ইরানের সাথে তেল-বহির্ভূত বাণিজ্যে সৌদির সর্বোচ্চ রেকর্ড দুপুর ১টার মধ্যে ১২ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে মাক্রোঁ মাওলানা খলীলুর রহমান নেছারাবাদীর সঙ্গে খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় আজও অপেক্ষা করি নামাজ শেষে জিহাদ মসজিদ থেকে ফিরবে

‘জোড়ের সিদ্ধান্ত ইজমায়ী সিদ্ধান্ত; সবাইকে মানা জরুরি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দাওয়াত ও তাবলিগের চলমান সংকট নিরসন ও উলামায়ে কেরামের অবস্থান স্পষ্ট করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়াজাতি জোড়।

এতে মুজাহিদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর ছাহেব হুজুর রহ. এর ছাহেবজাদা ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন তার বক্তৃতায় বলেন, আজকের এই ওয়াজাহাতি জোড় থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা ইজমায়ী সিদ্ধান্ত। ইজমায়ে উম্মাহ হওয়ার জন্য যত শরায়েত প্রয়োজন এ মজলিসে সে সব শর্ত উপস্থিত আছে।

তিনি বলেন, আজকের এ জোড়ের সকল সিদ্ধান্ত ইজমায়ে উম্মাহর সিদ্ধান্ত। যারা এই সিদ্ধান্ত মানবেন না তারা জালেম। আমাদের সকলকে এই জালেমদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সতর্ক করতে হবে। সেই সঙ্গে এই জালেমদেরও সাহায্য করতে হবে, তাদের বুঝাতে হবে।

আল্লাহর রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, তোমরা জালেম এবং মাজলুম উভয়কে সাহায্য করো। সাহাবারা আরজ করলেন, মাজলুমদের সাহায্য করাতো বুঝলাম; কিন্তু জালেমকে কিভাবে সাহায্য করব? আল্লাহর রাসূল সা. ইরশাদ করলেন, জালেমকে তার জুলুম থেকে বিরত রাখাই হলো- তাকে সাহায্য করা।

মুফতি রুহুল আমীন আরও বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ চলে ছয় উসূলের ভিত্তিতে। আমাদের এক ভাই সাদ সাহেবের এতায়াত করতে হবে বলে সাত নম্বর উসূল চালু করেছেন, আজকের এই জোড় থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা সবাইকে মানতে হবে। এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে কোনো সাত নম্বর বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো এতায়াতী জামাত চলতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশে চলবে হযরতযী ইলিয়াস রহ. এর নকশায় রেখে যাওয়া তাবলীগ, হযরতযী ইউসুফ সাহেব রহ. নকশায় রেখে যাওয়া তাবলীগ, চলবে হযরতযী এনামুল হাসান রহ. যেই শুরা পদ্ধতিতে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ রেখে গেছেন আজকের জোড়ে সিদ্ধান্ত হওয়ায় পর বাংলাদেশে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ সেই শুরা পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।

মুফতি রুহুল আমীন তার বক্তব্যে আরো বলেন, পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের নেজামউদ্দিনের কোনো নেজাম কেউ যদি বাংলাদেশে চালু করার চেষ্টা করে, তবে সেটা করতে দেওয়া হবে না।

আল্লামা রুহুল আমীন তার বক্তব্যে জোড়ের সিদ্ধান্তসমূহ সর্বস্তরের সকল সাথী ভাই এবং উলামা হযরতদের সমন্বয়ে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

জোড়ে জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আল্লামা আশরাফ আলী, জামিয়া বারিধারার মুহতামিম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মারকাজুদ দাওয়ার আমিনুত তালিম মুফতি আবদুল মালেক, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহাতামিম আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ,

জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, লালবাগ জামিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি ফয়জুল্লাহ, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি, মুফতি এনামুল হক, বারিধারা মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ওবায়দুল্লাহ ফারুক, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, উত্তরা আল মানহাল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ আযহারীসহ বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সিদ্ধান্তমূলক বক্তব্য পেশ করেন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক শাইখুল হাদিস আল্লামা আহমদ শফী। অনুষ্ঠানে ৬টি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সর্বশেষ দোয়ার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।

-আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ