আওয়ার ইসলাম: প্রতিটি মানুষই রোগের যথাযথ চিকিৎসা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করে থাকেন। জমি জমা বিক্রি করে কিংবা ঋণ করেও চিকিৎসা নেন মানুষ। কিন্তু যার জমি জমা কিংবা ঋণ করার কেউ নেই সে কী করবে? সমাজের দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া তার কোনো উপায় নেই।
কিডনি রোগে আক্রান্ত হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমানও বাঁচতে চায়। তার সহায় সম্ভব বলতে একখানা ঘরই আছে। জমি জমা কিংবা অর্থ উপার্জনের মতো কোনো অবলম্বনই নেই। সে তাকিয়ে আছে সমাজের বিত্তবানদের দিকে।
হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান। ১৯৭৮ সালের ১ জুন ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার অষ্টগ্রামে ইসলামিয়া হাফিজীয়া মাদরাসায় হেফজ সমাপন করেন। রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় অবস্থিত মিফতাহুল উলুম থেকে দাওরা হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।
পড়ালেখা শেষ করে ১৯৯৫ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। মধ্যবাড্ডার মসজিদুল জান্নাহ, মগবাজারের নয়াটুলা কামিল মাদরাসা, হাফেজ কারী আব্দুল হক প্রতিষ্ঠিত মহাখালী হাফিজীয়া মাদরাসাসহ দেশের কয়েকটি মাদরাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
বর্তমানে কুরআনের এই শিক্ষক অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি অবস্থান করছেন। মাওলানা সাইদুর রহমানের কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সংসার ও চিকিৎসা চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়।এলাকার লোকজনই এতদিন টাকা পয়সা দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। সংসারের ভার বহন করেছেন।
বর্তমানে সাইদুর রহমানের চিকিৎসায় প্রতিমাসে ২৪ হাজার টাকা খরচ হয়। কয়েক মাস ধরে এ চিকিৎসা চলছে। চালাতে হবে আরও দীর্ঘ দিন। এখন সমাজের কাছে হাত পাতা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।
কুরআনের এই শিক্ষক হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমানকে বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। আমরা তার জন্য শুধু চেষ্টাই করতে পারি। একজন আলেম এ যুগে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে সেটা মেনে নেয়া কঠিন।
তাই আসুন, একটু চেষ্টা করি, হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমানকে বাঁচানো যায় কিনা।
হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে: 01917609084
সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ : 01917609084 (পার্সোনাল)
ব্যাংক একাউন্ট নং: ১১০২৯ (বংশাল শাখা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ)
আরএম