আওয়ার ইসলাম: যশোরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৫ জুলাই) ভোরে যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক সড়কের কানাইতলা যাত্রীছাউনি এলাকায় এ 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের ভাষ্যমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ধারালো হাসুয়া ও একটি করাত জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এসআই নজরুল।
খুলনায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইমরান ওরফে রকি নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে মহানগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকায় এ 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত রকি দৌলতপুর থানার দেয়ানা এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শেখ মিজানুর রহমান ওরফে হাতকাটা মিজার ছেলে।
র্যাবের দাবি, নিহত রকি একজন মাদক ব্যবসায়ী ও ৬-৭টি মামলার আসামি। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, তিন রাউন্ড গুলি ও ৩০৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব-৬ এর এএসপি বজলুর রশিদের ভাষ্যমতে, রাত দেড়টার দিকে নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকায় টহলে বের হয় র্যাবের একটি দল। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজনকে দ্রুত ছুটতে দেখে তাদেরকে দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু তারা না দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে দেন।
বজলুর রশিদ আরো বলেন, বিষয়টি র্যাবের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব তাদের পিছু নেয়। তারা র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে দুইজন পালিয়ে যাওয়ার পর ইমরান ওরফে রকিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।