আওয়ার ইসলাম: কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। রীতিমত কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্মাটফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে কলেজে মোবাইল ব্যবহারে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীরা এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ ও হতাশা প্রকাশ করেছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আজকের পর থেকে যদি কোনো ছাত্রী ক্লাস চলাকালীন স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাহলে ওই মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে আরও বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সাথে ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ছাত্রীরা ক্লাস চলাকালীন স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। ফলে তাদের ক্লাসের প্রতি অনীহা দেখা দিচ্ছে, তাতে নিজের ও অন্যের লেখাপড়া চরম হুমকীর মুখে পড়ছে। এজন্য ১৮/০৭/২০১৮ ইং তারিখ থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
উল্লেখ্য যে, কোনো ছাত্রীর কাছে স্মার্টফোন পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি অতীব জরুরী।’
বুধবার এই নোটিশ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আর তাছাড়া ক্লাসে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগও সঠিক নয়। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নোটিশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান জানান, ক্লাস চলাকালীন সময়ে মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। যে কারণে পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ফেরাতে আমরা কলেজ ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি।
আরও পড়ুন: আপনার যে ৫টি ভুল স্মার্টফোনের ক্ষতি করছে