আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়া রিয়াদ, সৌদিআরব
সর্বাত্মকভাবে নিজের দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করা। *যৌবনে পদার্পনের পর অনতিবিলম্বে বিবাহ করা। *বিবাহে অপারগ হলে সিয়াম পালন করা। * নারীর শতভাগ পর্দা রক্ষা করা। *অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়া।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন –‘আর তোমরা (নারীরা) ঘরে অবস্থান কর এবং জাহেলি যুগের নারীদের মত খোলামেলা চলাফেরা করো না।‘ (আহযাব : ৩৩)
অপরিচিত নারীর সঙ্গে নির্জনে অবস্থান না করা। রসূল সা. বলেন, ‘তোমরা নারীদের কাছে প্রবেশ করার ব্যাপারে সতর্ক থাকো।’
কোনো নারীর সঙ্গে মুসাফাহা না করা। রাসূল সা. বলেন, ‘আমি নারীর সঙ্গে মুসাফাহা করি না।’
নারী-পুরুষ একসঙ্গে মেলামেশা না করা।
অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করে এমন সব কথা ও কাজ থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘আর তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না।‘ (বনি ইসরাঈল : ৩২)
অশ্লীল কথা বা কাজের কথা শোনা, অশালীন বস্তুর প্রতি দৃষ্টিপাত করা, অশ্লীল ছবি বা সিনেমা দেখা, অশ্লীল কিছু পাঠ করা এ সবই আয়াতের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।
লজ্জাস্থান হেফাজত করবেন কেন?
লজ্জাস্থানের হিফাজতকারীকে আল্লাহ তা’আলা আরশের নিচে ছায়া দিবেন। রসূল সা. বলেন, সাত প্রকার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা আরশের নিচে ছায়া দিবেন। (তাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত যাকে কোনো সুন্দরী সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারী কু-কর্মের দিকে আহ্বান করলে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। (বুখারি : ১৩৩৪)
নবী করীম সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যকার মুখ ও দুই পায়ের মধ্যকার লজ্জাস্থান হিফাজতের জিম্মাদার হলো, আমি তার জানড়বাতে প্রবেশের দায়িত্ব নিলাম।’
পাঁচ উপায়ে সন্তানদের অশ্লীলতা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন : মুফতি মেঙ্ক
-আরআর