কাউসার মাহমুদ : পবিত্র কাবার জিয়ারতকারী বিশ্বের বরেণ্য আলেমগণকে যেসব হাদিয়া দেয়া হবে এর মধ্যে তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশী লেখক মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফের বই ‘ফি লাহজাতিল ওয়াদায়ীল আখীর।
লেখক মাওলানা মারুফ রাজধানীর জামিআ ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল ও ঢাকার সার্কিট হাউস জামে মসজিদের খতীব।
‘ফি লাহজাতিল ওয়াদায়ীল আখীর’ ২০১৫ সালে মক্কার অভিজাত প্রকাশনী ‘দারু তিবাতিল খাযরা’ প্রকাশ করে। তখনকার আরব বইমেলাগুলোতে কিতাবটি সাড়া ফেলে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও সৌদি হজ ব্যবস্থা কমিটি সারা বিশ্ব থেকে আগত বিশেষ মেহমানদের হাদিয়া দিচ্ছে উল্লেখযোগ্য নির্বাচিত কিছু কিতাব। এ বছর যেখানে স্থান করে নিয়েছে মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফের ‘ফি লাহযা’। যা বাংলাদেশের জন্যও এক বিরল সম্মানের।
গত ১৩ জুলাই একটি চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশী লেখক আরীফ উদ্দীন মারুফকে এ সুসংবাদ জানিয়েছেন দারু তিবাতিল খাযরা কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে তারা শায়খ মারুফের প্রতি সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “শায়খ ডক্টর আরীফ উদ্দীন মারুফ! আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন এবং আপনাকে উপকৃত করুন। আর আপনাকে করে তুলুন এ উম্মতের অনুপম ব্যক্তি হিসেবে।”
চিঠিতে আরো লেখা হয়, “আপনার কিতাব ‘ফি লাহযাতিল ওয়াদায়ীল আখীর’ দ্বারা উপকৃত করুন সমস্ত মানুষকে। আপনার এ কিতাবের প্রতি মানুষের প্রচণ্ড সম্মোহন ও অত্যধিক পাঠকপ্রিয়তা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। তাই পবিত্র হজের মওসুমে বহির্বিশ্ব থেকে আগত আলেম, পণ্ডিত, স্কলার, দায়ী ও বিদ্বান লোকদের কাছে এ মূল্যবান গ্রন্থটি হাদিয়া পেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি আমরা। এ ক্ষেত্রে আপনার অনুমিত আমাদের একান্ত কাম্য।”
এমন সুসংবাদে অনুভূতি জানতে চাইলে মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ জানান, সবই আল্লাহর অনুগ্রহ। আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু কুল্লুহু। তার দয়াই আমাদের একান্ত আরাধ্য। আর অনুভূতির কথা বলতে গেলে স্বভাবতই বলবো ‘খুব ভালো লাগছে’ আলহামদুলিল্লাহ!
তিনি বলেন, এটি শুধু আমার জন্যই নয় বরং এ দেশের আলেমসমাজের জন্যও একটি তৃপ্তি ও সুখের সংবাদ। সম্ভবত কোনও বাঙালি আলেমের স্বরচিত মৌলিক কোনও প্রথম পুস্তক এটিই। যা সরকারিভাবে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে সারা দুনিয়া থেকে আগত বিশেষ শায়খদের।
আরও পড়ুন : কেমন আছেন আরাকানের প্রসিদ্ধ লেখক মাওলানা শিব্বির আহমদ?