আওয়ার ইসলাম : বঙ্গোপসাগরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের নৌবাহিনী দুই দেশের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় যৌথ টহল শুরু করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নৌসীমা থেকে এ টহল শুরু হয়ে ৩ জুলাই ভারতের বিশাখাপত্তমে পৌঁছে তা শেষ হবে।
টহলে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমানের (মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট) অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ যৌথ টহলে অংশ নেবে।
সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান ও মানবপাচার, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল পরিচালিত হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ (বানৌজা) ঈসাখানের এসএমডব্লিউটি মিলনায়তনে যৌথ টহলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।
এই যৌথ টহল দুই দেশের জলসীমায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে নৌবাহিনী প্রধান উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকায় এককভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, এ সংক্রান্ত তথ্যাদির আদান-প্রদান এবং সমন্বিত নজরদারি সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যা এ অঞ্চলের সমুদ্রবিষয়ক সচেতনতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
যৌথ টহলের সাফল্য কামনা করে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী সময় পার করছে। বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঐতিহাসিক এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার চলমান এ ধরনের টহল, সমুদ্র মহড়া, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও ভারতীয় নৌপ্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন : ‘১৩ সেনা-পুলিশ রোহিঙ্গা গণহত্যার মূল ভূমিকায়’