আওয়ার ইসলাম : ‘ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি, সরবরাহ ও এর ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশকে দেওয়া কথা রাখেনি মিয়ানমার।’ সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইয়াবা বানায় মিয়ানমার। বাংলাদেশ বা ভারত কোথাও ইয়াবা তৈরি হয় না। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত শুধু টেকনাফ বা নাফ নদীই নয়। এর বাইরেও অনেক সীমান্ত দিয়ে নানাভাবে পাচার হয়ে ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মিয়ানমারের ইয়াবা সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়েও বাংলাদেশে আসছে, সমুদ্রসীমা দিয়েও আসছে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সীমান্তে ইয়াবার কারখানা রয়েছে। এই ইয়াবা পাচার বন্ধে আমি নিজে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেদেশের প্রেসিডেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক চুক্তিও করেছি। কিন্তু কোনও কথাই রাখেনি মিয়ানমার। তারা মুখে বলছে কাজ করবে। কিন্তু কোনও কাজই করেনি। ভারত কিন্তু বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেক সীমান্তে ফেনসিডিলের কারখানা বন্ধ করেছে। এগুলো তো দৃষ্টান্ত।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ইয়াবা বহনকারী শনাক্তে বান্দরবান ও নাইক্ষ্যাছড়ি সীমান্তে বিওপির (বর্ডার আউট পোস্ট) সংখ্যা বাড়িয়েছি। এছাড়া পুটখালীতে পরীক্ষামূলক ডিভাইস বসিয়েছি। সেই ডিভাইস ভালো কাজ করছে। যে সব সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আসছে, সেখানে এই ডিভাইস বসাবো।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের টহল বাড়িয়েছি। এই মাদকের সরবরাহ বন্ধে আমরা নোডাল এজেন্সিকে শক্তিশালী করছি। বিজিবিকে শক্তিশালী করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য আমরা মাদক নিযন্ত্রণ করবো।’
সংবাদ সম্মেনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ। ।
যন্ত্রণাহীন স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো শরিয়ত কী বলে?
এসএস