আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের নারী গার্মেন্টস শ্রমিকরা এখনও ধর্ষণ ও ডাকাতির আতঙ্কে আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য মিয়ানমার টাইমস।
মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান- এ তিন দেশে নারী শ্রমিকদের ওপর চালানো এক গবেষণা জরিপের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি। গবেষণার কাজটি করেছে আইএমসি ওয়ার্ল্ডওয়াইড, পোর্টসমাউথ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রিসার্চ নামের তিন সংস্থা।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের নারী গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানিয়েছে- তারা কাজের জন্য যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অনিরাপদ; যা এই খাতের উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
‘নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সামাজিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে; যা দেশব্যাপী নারীদের হুমকিস্বরূপ।’
২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে চালানো ওই গবেষণায় তিন দেশের নারী, কর্ম পরিবেশ ও তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে প্রধান্য দেয়া হয়।
গবেষণায় নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কমাতে কর্ম পরিবেশ বিশেষ করে মধ্য আয়ের নারীদের চলার পথে সামাজিক বাধা-বিপত্তি প্রশমনে সংস্কার দরকার বলে সুপারিশ করা হয়।
পোর্টসমাউথের এক গবেষক মিয়ানমার টাইমসকে জানান, নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি ভাবা উচিত যে কর্মক্ষেত্রে নারীরা কতটা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
মিয়ানমারের শ্রমবাজারের তথ্য অনুযায়ী, পোশাক, ফুটওয়্যার ও টেক্সটাইল শিল্পে দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে; যেখানে আনুপাতিক হারে কম বেতনের নারী শ্রমিকদের বৈষম্য বাড়ছে।
খাতটির সঙ্গে জড়িত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। যেখান থেকে দেশটির রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ আয় আসে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনেক নারী শ্রমিকের পরিচয়পত্র বা লেবার কার্ড দেয়া হয়।
এর অর্থ তারা অফিশিয়ালি কর্মী নয়। ফলে তারা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
ভারতে তিন তালাকের বিরুদ্ধে মুসলিম নারীদের সমাবেশ
‘ইসলামে তিন তালাক নেই; সমাজ ভুল ধারণায় বসে আছে’