আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী এম কুলাসেগারা সেখানকার জাতীয় দৈনিক ‘দ্য স্টার’কে এমনটি জানিয়েছেন।
দৈনিকটির অনলাইনে শুক্রবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, ‘চলমান প্রক্রিয়াকে স্থগিত ঘোষণা করছি। আবার পুরনো প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। সরকার এর ব্যবস্থাপনায় থাকবে।’
কুলাসেগারা আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আগের পদ্ধতিতে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া সরাসরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠায় এ স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
তবে মালয়েশিয়ার সরকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে জানায়নি বলে নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশের শ্রম কাউন্সিলর মো. সাইয়েদুল ইসলাম কে বলেন, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসকে বিষয়টি জানানো হয়নি।
আমরা প্রতিবেদনটি দেখেছি। সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পেলে বিস্তারিত বলতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে এককভাবে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। কারণ এটি একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং এর যেকোনো সমস্যা দুই পক্ষকে বসে ঠিক করতে হবে।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি তারা আসছে। আর স্থগিতাদেশ দেয়া হলেও বর্তমানে যারা প্রক্রিয়াধীন আছেন (প্রায় ১ লাখ) তাদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’
দূতাবাসের আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় নতুন সরকার গঠিত হয়েছে এবং এটি স্বাভাবিক তারা আগের নিয়মগুলো বুঝবে, জানতে চাইবে এবং গোটা বিষয়টি নিজেদের মতো করে সাজাতে চাইবে।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের একজন বন্ধু এবং তার আগের মেয়াদে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০১২ সালে দুই দেশ শুধু সরকারি মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চুক্তি সই করে। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর সেটিকে পরিমার্জন করে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড