আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালের এদিনে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত দলটি বাংলাদেশের স্বাধীন সংগ্রাম অভ্যুদয়ের আন্দোলনে নেতৃত্বদান করে ৬৯ বছর শেষ করে ৭০ বছরে পা দিলো।
আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু করলেও দলটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ১৯৫৫ সালে কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়। নতুন নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।’ স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি।
এবার ৭০ বছরে পা দেওয়া দলটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নতুনমাত্রায় উদযাপন করবে। শনিবার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দশ তলাবিশিষ্ট ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রতিষ্ঠাকালে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলটির সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর নির্বাচন, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে দলটি নেতৃত্ব দেয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে।
এরপর আবার ক্ষমতায় আসে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়। এরপর টানা দ্বিতীয় বারের মতো ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে।
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবার নতুন মাত্রা নিয়ে উদযাপন করছে দলটি। এ লক্ষ্যে গণভবনে বিশেষ প্রতিনিধি সভাও আহ্বান করেছে দলটি।
সভায় বিশেষ বার্তা দেবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এছাড়াও ১০তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন আধুনিক নতুন ভবন উপহার প্রাপ্তিও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তাৎপর্যে যোগ করছে নতুন মাত্রা।
ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড