আওয়ার ইসলাম: মানবাধিকার তদন্তে জাতিসঙ্ঘের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না বাংলাদেশ। জাতিসঙ্ঘের এ ধরনের অন্তত দশটি অনুরোধে বাংলাদেশ সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার জিয়াদ রাদ আল হুসেইন এ কথা জানান। সোমবার জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৮তম অধিবেশনে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।
জিয়াদ রাদ আল হুসেইন নাগরিক সমাজের কাজ করার ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হওয়ার উদ্বেগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে আরো সক্রিয়া হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সঙ্কট সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য জাতিসঙ্ঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানান।
হাইকমিশনার বলেন, রাখাইনে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়া উচিত না। রাখাইনে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সুপরিকল্পিত ও ব্যাপকভিত্তিক হামলা অব্যাহত রয়েছে। আদালতে প্রমাণিত হলে এটি গণহত্যা হিসাবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগগুলো তদন্ত করে দোষিদের শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার দিয়েছে।
কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কাজে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাখাইন যাওয়ার অনুমতি দিতে মিয়ানমারের অব্যাহত অস্বীকৃতির পর জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সংস্থা, মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ রেপোর্টিয়ার ও তথ্যানুসন্ধান মিশন দূর থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি এবং উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সাথে মিয়ানমার সরকারের সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ঘটনাকে ইতিবাচক হিসাবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
দল-মত নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান: আল্লামা বাবুনগরী