আওয়ার ইসলাম : নাইটক্লাবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কম করেও ১৭ জনের মৃত্যু হল৷ মৃতদের মধ্যে আটজন নাবালক৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারকাসের৷ জানা গিয়েছে নাইটক্লাবে পার্টি চলাকালীন আগুন লেগে যায়৷ হুড়োহুড়ি করে বেরতে গিয়ে অনেকে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান৷ মৃতদের সকলেরই বয়স ২৩ বছরের নিচে৷
ভেনিজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেস্টর রেভেরল সাংবাদিকদের জানান, শনিবার ভোররাতে ঘটে ঘটনাটি৷ কারাকাসের একটি নাইট ক্লাবে গ্র্যাজুয়েশন পার্টি চলছিল৷ তখন সেখানে টিয়ার গ্যাস ভরা গ্রেনেড ছুঁড়ে মারা হয়৷
বিষাক্ত টিয়ার গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়৷ পরে সেখানে আগুন ধরে যায়৷ প্রাণভয়ে বাঁচতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়৷ আহত শতাধিক৷ তাদের বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভরতি৷ নাইটক্লাবে সেই সময় ৫০০ জন পার্টি করছিলেন৷ মৃতদের মধ্যে আটজন নাবালক৷
এই ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ঘটনার পরই নাইটক্লাবটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন৷ ক্লাব মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মর্মান্তিক ঘটনার পর একাধিক গাফিলতি সামনে এসেছে৷ প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ওই ক্লাবে কোনও আপদকালীন বেরনোর পথ নেই৷
তবে লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে কোনও কর্মাশিয়াল বাড়িতে সাধারণত আপদকালীন দরজা দেখা যায় না৷ কারণ অনেক ক্রেতাই বিল না মিটিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়৷ সেই প্রবণতা বন্ধ করতে কেউ এমার্জেন্সি দরজা ব্যবহার করে না৷
কারাকাসে আগেও নাইটক্লাবে পার্টি করতে এসে পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার নজির রয়েছে৷ ২০০২ সালে লা গুয়াজিরা নামে একটি ক্লাবে আগুনের জেরেই পদপিষ্ট হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়৷
খেলার নামে শুরু হলো এ কোন খেলা!
এসএস