বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

স্বামীর লাশ সামনে হাসপাতালে শাবানার ঈদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ঈদের দিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিলাপ করছিলেন শাবানা, সামনে স্বামী রনি মিয়ার লাশ।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিদ্যুৎ মিস্ত্রি রনি। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়, শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় তার মৃত্যু ঘটে।

ঈদ এলেও রনির মৃত্যুতে তার পরিবারের আর আনন্দ নেই। ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের বেলতলীতে তাদের বাসার সবাই এখন বেদনায় ভারাক্রান্ত।

রনির সঙ্গে মোটর সাইকেলে থাকা তার মেয়ে শ্রাবণীও আহত হন। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়।

সপ্তম শ্রেণিতে পডুয়া শ্রাবণীর জন্য জুতা কিনতে বেরিয়ে রনি এই দুর্ঘটনায় পড়েন বলে তার শ্যালক সজিব জানান।

তিনি বলেন, শ্রাবণীর ওড়না মোটর সাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে গেলে মোটর সাইকেল রাস্তার পাশের দেয়ালে জোরে ধাক্কা খায়। তাতে রনি গুরুতর আহত হন।

হাসপাতালে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় রনির স্ত্রী শাবানার বিলাপে পুরো এলাকা ভারী হয়ে যায়।
রনির বাবা বাচ্চু শেখ ছিলেন বাকশূন্য। তিনি বলেন, “আমাদের সবার ঈদ মাটি হয়ে গেল।”

এদিকে জামালপুরের মেলান্দহের ধৌরমুট গ্রামের কলেজে পড়ুয়া কাউসার আহমেদ বৃদ্ধ বাবা আবু তাহেরকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছেন গত ১০ জুন থেকে। স্ট্রোকের পর বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।

ঈদের দিন সকালে কিছু না খেলেও বোন রোজিনা আক্তার বিন্দুকে নিয়ে পাশেই রয়েছেন কাউসার।

ভাই-বোন হাসিমুখে বলেন, ঈদ তাদের ‘মাটি’ হয়নি। বাবার পাশে আছেন, এটাই তাদের সুখ।
ঈদের সকালে চিকিৎসক এসেছিলেন কি না- জানতে চাইলে বিন্দু বলেন, “সকালে একজন ডাক্তার দেখে গেছেন বাবাকে।”

ঈদের সকালে ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে অন্য সময়ের চেয়ে রোগী কম দেখা যায়। অন্য সময় লিফটের সামনে ভিড় থাকলেও এখন কেউ নেই।

একজন সেবিকা বলেন, “ঈদে খুব জরুরি না হলে কেউ হাসপাতালে থাকতে চায় না। তবে আগামীকাল থেকেই রোগী বেড়ে যাবে।”

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আর্ট স্কুল পুড়ে ছাই

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ