সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যে কারণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট পরিব্রাজক ইবনে বতুতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: ইবনে বতুতা ছিলেন ১৪ শতকের এক বহুল পরিচিত পরিব্রাজক। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন ইসলামী দুনিয়ার সকল দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। বিশ্ব বিখ্যাত এ ভ্রমণপিপাসু ঘুরে বেড়িয়েছেন আফ্রিকা থেকে ভারত, ভারত থেকে তুরস্ক পর্যন্ত। এমনকি বাংলাদেশেও পড়েছে তার পদচিহ্ন।

তিনি বিশাল এ পথ পাড়ি দিয়েছেন কখনও নদী পথে, কখনও উটের কাফেলায় আবার কখনও বা পায়ে হেঁটে। টানা ২৯ বছর বিশ্ব ভ্রমণ করে ক্ষান্ত হয়েছিলেন তিনি। এসময় তিনি যত দেশে গিয়েছেন তা সত্যিই কল্পনা করার মতো।

মার্কো পোলোকে তার সমকক্ষ মনে করা হলেও পোলোর চেয়ে বতুতা বেশি অঞ্চল ভ্রমণ করেছেন। তাই অধিকাংশ ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতাকেই বিশ্বের সেরা ভ্রমণকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। মরক্কোর এই পথিক ২১ বছর বয়সে তার নিজ দেশ মরক্কো ছেড়ে মক্কায় হজ পালন করতে বেরিয়েছিলেন।

এসময় তিনি বহু অঞ্চল ঘোরেন যেখানে অন্যরা কল্পনাও করতে পারতো না। একুশ বছর বয়স থেকে শুরু করে জীবনের পরবর্তী ২৯ বছর তিনি প্রায় ৭৫ হাজার মাইল পথ ভ্রমণ করেছেন। তিনিই একমাত্র পরিব্রাজক যিনি তাঁর সময়কার সমগ্র মুসলিমবিশ্ব ভ্রমণ করেছেন এবং এর সুলতানদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

তিনি বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকা থেকে শুরু করে মিশর, সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, কাজাকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীন ভ্রমণ করেছিলেন।

বিশ্ববিখ্যাত এ ভ্রমণকারী বাংলাদেশকেও বাদ রাখেননি তার ভ্রমণের তালিকা থেকে। ইসলাম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর সাথে দেখা করার জন্য তিনি এ অঞ্চলে আসেন। ১৩৫৪ সালে আবার যখন তিনি মরোক্কোয় ফিরে আসেন তখন মরোক্কোর স¤্রাট তার ভ্রমণ কাহিনী লেখার নির্দেশ দেন।

ইবনে জুজাই নামের এক লেখকের কাছে তিনি তার ভ্রমণের কথা বলেন যিনি এসব কথা লিপিবদ্ধ করেন। এ বইটি মরোক্কোয় ‘রিহলা’ নামে পরিচিত যার বাংলা হলো ‘ভ্রমণ’। ১৩৬৮ সালে তিনি মারা যান। যে মানুষটি সারাবিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন, তিনি হয়ে গেলেন এক জায়গায় স্থির।

ইবনে বতুতার দেখা হজরত শাহজালাল রহ.

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ