হামিম আরিফ: নুরানী পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রাণপুরুষ কিশোরগঞ্জ জামেয়া নূরানিয়া তারাপশার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম রঈসুল মুআল্লিম কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ ব্রেইন স্টোকে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার আগারগাঁও নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জামেয়া নূরানিয়া তারাপশার শিক্ষক মাওলানা যুবায়ের আওয়ার ইসলামকে বলেন, কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ সোমবার হঠাৎ করেই ব্রেইনস্টোক করেন। চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় আনা হয়। তবে তিনদিন হলেও এখনো তার জ্ঞান ফিরেননি।
কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ নুরানী পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা প্রসারের জন্য বাংলাদেশে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তিনি কিশোরগঞ্জে ১৯৮২ সালে জামিয়া নুরানিয়া তারাপাশা মাদরাসার প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখানে দাওরা ও উলুমুল হাদিসসহ কওমি মাদরাসার পূর্ণ জামাত পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশে নূরানি পদ্ধতির আবিষ্কারক শাইখুল কুররা কারী বেলায়েত হোসাইন রহ. এর আপন চাচতো ভাই এবং অন্যতম শীষ্য।
কিশোরগঞ্জে মাদরাসা ছাড়াও ঢাকার মোহাম্মদপুর সাতমসজিদের পাশেই ১৯৮৪ সালে তিনি নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স খুলেন। যেখানে সারা বছর কুরআন প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। এর আওতায় সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।
১৯৬৫ সালে কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ লালবাগের জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। জামিয়া নুরিয়া কামরাঙ্গির চরে শিক্ষকতার মাধ্যমে তার অধ্যাপনার জীবন শুরু। এরপর সদর সাহেব রহ. এর আবেদনে তিনি চলে যান গহরডাঙ্গায়। সেখানে হাদিসের কিতাবগুলো দরস দেন।
স্বাধীনতার পর মাওলানা কারী বেলায়ে হোসাইন রহ. এর সঙ্গে যৌথ ভাবে নূরানি শিক্ষার প্রসারে কাজ করেন।
বাংলাদেশে দীনের অন্যতম এ খাদেমের সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার ছেলে মাওলানা আবুল বাশার।
জামিআ মাহমুদিয়া ইসলামিয়ায় ভর্তি চলছে
-আরআর