আওয়ার ইসলাম: সমাজের হতদরিদ্রদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে জাকাত আদায়-বিতরণের জন্য ১৯৮২ সালের ৫ জুন এক অধ্যাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাকাত বোর্ড গঠন করা হয় বলে জানা যায়।
ওই ফান্ড পরিচালনার জন্য জাকাত বোর্ড গঠন করে সরকার। কিন্তু ৩৬ বছরেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি নিজস্ব জনবল। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়েই চলছে এই বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম।
এছাড়া প্রচারণাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্যও নেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ। এসব কারণে জাকাত বোর্ড স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরাই।
জানা গেছে, বর্তমানে জাকাত বোর্ডের দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় বসেন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরমধ্যে রয়েছেন একজন ‘পরিচালক’ পদ-মর্যাদার কর্মকর্তা।
তিনি মূলত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক, অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেখভাল করছেন জাকাত বোর্ড। এছাড়া, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা রয়েছেন ১ জন, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক ১ জন, নিম্নমান সহকারী কাম সহকারী হিসাব রক্ষক ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, টাইপিস্ট ১ জন ও ২ জন এলএমএসএস রয়েছেন।
বর্তমানে এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক।
তিন বছরের জন্য বোর্ডের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হলেও হয় না নিয়মিত বৈঠক। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্তের বাইরে বোর্ড সদস্যদের অভিমতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
যাকাত ফান্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার যখন জাকাত ফান্ড গঠন করে, তখন সাময়িকভাবে কাজ পরিচালনার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পৃথকভাবে জনবল নিয়োগ করা হয়নি।
১৯৮৭ সালের পর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনেই জাকাত বোর্ডের কাজ চলছে। জনবল সংকট তো আছেই। এছাড়া প্রচার-প্রচারণা ও অন্যান্য কাজের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দও নেই। ফলে সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনাও সম্ভব হচ্ছে না।’
ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক কর্মকর্তা মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘জাকাত বোর্ড শক্তিশালী করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরর অধীনে না রেখে আলাদা বোর্ড করা জরুরি।
অনেকবার বৈঠকে এসব কথা বলেছি, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জাকাত কার্যক্রম শক্তিশালী হলে দেশের দারিদ্র্যবিমোচন সহজ হবে। এজন্য প্রয়োজনী উদ্যোগ প্রয়োজন বরে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি।
আরো পড়ুন- রোজাদারের বিশেষ একটি দোয়া