আওয়ার ইসলাম: ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন সমর্থিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাকুন্দিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াছিন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, অনেকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ইজারার নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে এলাকার জনগণের বাড়িঘরসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
গত ২৩মে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এখলাছ উদ্দিন এলাকার জনগণকে নিয়ে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়। এতে এখলাছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন বালু মহালের ইজারাদার বিল্লাল হোসেন। এর প্রতিবাদে এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগ একটি বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের আয়োজন করে।
এই সংবাদ পেয়ে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হক দেওয়ান ও যুগ্ম-আহ্বায়ক রুবেল মিয়ার নেতৃত্বে ২০ বা ২৫ জনের একটি দল বিক্ষোভকারী ছাত্রলীগের দলটির ওপর আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় উভয় দলের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পাকুন্দিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। পুনরায় যাতে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।