আবদুল্লাহ তামিম: ওমানের পূর্ব ও ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর আঘাতে ১২ বছরের এক মেয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া ইয়েমেন সোকোট্রা দ্বীপ থেকে কমপক্ষে ৪০ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর এসেছে। নিখোঁজদের মধ্যে ইয়েমেন, ভারত ও সুদানের নাগরিক রয়েছে। সরকারি হিসেবে, সাগরে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার ওমানের সালালাহ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মেকুনু আঘাত হানে। ইয়েমেন ও ওমানজুড়ে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর নতুন উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা যায়, এটি দ্বিতীয় মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, এটি উত্তর থেকে উত্তর-পশ্চিমে সরে যাবে।
ঘূর্ণিঝড়টি সৌদি আরব থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে সরে যাবে এবং বাতাসের গতিবেগ হবে ১৫৭ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার বলেও জানানো হয়।
জেনারেল অথরিটি অব মেটারোলজি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট প্রটেকশন (জিএএমইপি) এসব তথ্য জানায়।
ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর প্রভাবে বন্যার সৃষ্টি হয়। সালালাহর বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। বাতাসের তীব্র গতিতে রাস্তার লাইট এবং বাড়ির ছাদ উড়ে যায়।
এ ছাড়া ইয়েমেনের সরকারি সূত্র দেশটির পূর্ব এবং সীমান্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানিয়েছে। আল মাহরা প্রদেশের গভর্নর রাঘেহ বাকরিত গত শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর অফিশিয়াল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, শক্তিশালী বাতাসে ঘরবাড়ি উড়ে যাচ্ছে এবং পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় দুই লাখ মানুষ গৃহহীন ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।
পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রয়্যাল ওমান পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ক্যাপটেন তারেক আল সানফারি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১২ বছরের এক মেয়ে আছে। এ ছাড়া এশিয়ার একজন শ্রমিক বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে জানান সানফারি।
আরো পড়ুন- দিনে ২২ ঘন্টা রোজা রাখছেন তারা (ভিডিও)