মুফতি আখতার ফয়জি: সারা বিশ্বের মুসলমান এবং পৃখীবিবাসীর জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত, নাজাত এবং সম্প্রীতি শিক্ষার মাস।
রমজানে রয়েছে মুমিনদের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার। আল্লাহ তাআলা বলেছেন রোজা আল্লাহ তাআলার জন্য এবং এর প্রতিদান তিনি নিজেই দিবেন।
রমজানে নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ তাআলা অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। রমজানের বিশেষ দুটি আমল হলো সাহরি ও ইফতার।
রোযাদারের জন্য সাহরী খাওয়া ও ইফতার করা সুন্নাত। বিশেষ কিছু না পেলে সামান্য খাদ্য বা কেবল পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
ইফতার খুরমা কিংবা খেজুর দ্বারা করা সুন্নাত। তা না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করবে।
ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দু‘আটি বেশী বেশী পড়বে:
يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ
অর্থঃ হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)
بِسْمِ اللهِ وَعَلى بَرَكَةِ اللهِ
"বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ" বলে ইফতার শুরু করবে এবং ইফতারের পর নিম্নের দুটি দু‘আ পড়বে:
১. اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
(অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোযা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করলাম।) (আবূ দাঊদ: ১/৩২২)
২. ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْـتَلَّتِ العُرُوْقُ وَثَبَتَ الاَ جْرُ اِنْ شَاءَ الله تَعَا لى
(অর্থঃ পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীসমূহ সতেজ হয়েছে, এবং ইনশাআল্লাহ রোযার সওয়াব নিশ্চিত হয়েছে।) (আবূ দা্উদ: ১/৩২১)
৩. ইফতারির দাওয়াত খেলে মেজবানের উদ্দেশ্যে এই দু‘আ পড়বে:
اَفْطَرَعندكم الصائمون واكل طعامكم الابرار وصلت عليكم الملئكة
(অর্থঃ আল্লাহ করুন যেন রোযাদারগণ তোমাদের বাড়ীতে রোযার ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের উপর রহমতের দু‘আ করে।) (আস্সুনানুল কুবরা, নাসাঈ ৬:৮১, ইবনুস সুন্নি ৪৩৩)
আরো পড়ুন-রমজানের খবর যে ব্যক্তি আগে দেবে তার জন্য কি জাহান্নাম হারাম?