ওমর ফাইয়ায : নিজের হৃদয় ও মস্তিস্কের হিফাযত করা সব মুমিনের জন্য আবশ্যক। ইসলাম ও ঈমান বিরোধী চিন্তা ভাবনা যেনো অন্তরে না আসে। হযরত আনাস রা. বলেন, রাসুল সা. (উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য) সব সময় এই দোয়া করতেন, يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِىْ عَلىٰ دِيْنِكَ.
হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তর আপনার দীনের উপর দৃঢ় করে দিন।
হযরত আনাস রা. একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনার উপর এবং আপনার আনিত শিক্ষার উপর ঈমান এনেছি। এখন আপনার মনে কি আমাদের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ আছে? ( যে বেশি বেশি এই দোয়া করেন!) রাসুল সা. উত্তর দিলেন হ্যাঁ! সব অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মধ্যে পড়ে আছে। আল্লাহ যেভাবে চান, এগুলোকে পরিবর্তন করেন।
এই হাদিসের শিক্ষা হলো, প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য নিজের হৃদয় ও মস্তিস্কের পুরোপুরি হিফাযত করা এবং ঈমান বিরোধী চিন্তা ভাবনা থেকে অন্তর ও মস্তিস্ককে পবিত্র রাখা। যদি ইসলাম বিরোধী চিন্তা ভাবনা অন্তরে জায়গা দেয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা অন্তুরকে ঈমান থেকে কুফুরির দিকে পরিবর্তb করে দেবেন।
ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজন যারা বিধর্মীদের চিন্তা ভাবনায় প্রভাবিত হয়ে ইসলামী চিন্তা ভাবনা ও বিশ্বাসের ত্র“টি বর্ণনা করে, তাদের উচিত নিজের দীনকে শুদ্ধ করা এবং নিজের ঈমানের চিন্তা করা। হযরত নোমান ইবনে বশির রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সা. বলেছেন,
اَلاَ وَاِنَّ فِى الْجَسَدِ مُضْغَةٌ، اِذَا صَلُحَتْ صَلُحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَاِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، اَلاَ وَهِىَ الْقَلْبُ
মনে রেখো! শরীরে একটি গোশতের টুকরো আছে, যখন ওটা ঠিক থাকে, তখন পুরো শরীর ঠিক থাকে। এবং যখন ওটা নষ্ট হয়ে যায়, তখন পুরো শরীর খারাপ হয়ে যায়। ওই গোশতের টুকরো হলো অন্তর।
হাদিসের সারমর্ম হলো, মানুষ মানুষের খারাপ হওয়া এবং সংশোধন অন্তরের উপর নির্ভরশীল। যদি অন্তর ঠিক হয়ে যায়, তাহলে তার সব কাজ ঠিক হয়ে যায়। আর যখন অন্তরে সমস্যা তৈরি হয়, তখন আমল, আখলাক, অভ্যাস সবই নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য এর হিফাযতে অবহেলা না করা উচিত।
সূত্র: সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযী, সুনানে ইবনে মাজা