রোকন রাইয়ান: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলা রেলস্টেশন থেকে আটক হওয়া বাংলাদেশি ২৪ শিক্ষার্থী এখনো আটক রয়েছেন রাজ্যটির কারাগারে। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত ১০ মে বৃহস্পতিবার ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার সময় তাদের আটক করে পুলিশ। তাদের কাছে নকল আধারকার্ড থাকার অভিযোগ করে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু না পেলেও সন্দেহের বশে এখনো আটক রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
ত্রিপুরার অনলাইন পোর্টাল জাগরণত্রিপুরা ডটকমের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)।
মূলত এসব শিক্ষার্থীদের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এনআইএর তিন কর্মকর্তা ত্রিপুরায় এসেছেন। প্রয়োজন মনে করলে তারা এসব শিক্ষার্থীকে নিজেদের জিম্মায় নেবেন বলেও জানিয়েছে জাগারণ ত্রিপুরা।
জানা যায়, গ্রেফতারের পর ২৪ শিক্ষার্থীকে ৮ জন করে তিনটি থানায় রাখা হয়েছে। তাদের নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ।
এদিকে আখাউড়া সীমান্তে আটক হওয়ায় অপর ৯ মাদরাসা শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্ত হন বলে জানা গেছে।
আওয়ার ইসলাম সাংবাদিকতা কোর্সের নিবন্ধনের বাকি ১ দিন
গত ১১ মে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে শিক্ষা শেষে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশের আসার সময় টহলরত বিজিবির হাতে আটক হন তারা। সেদিনই তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী ইয়াকুব আওয়ার ইসলামকে বলেন, আখাউড়ায় আটক ৯ শিক্ষার্থীর জামিনে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই মনে করছেন ত্রিপুরায় আটকরা মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু তারা এখনো পুলিশের জালে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে।
তিনি জানান, ত্রিপুরায় আটক ২৪ শিক্ষার্থীকে মুক্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। ২৪ টি পরিবারসহ বাংলাদেশের প্রতিটি আলেম তাদের জন্য চিন্তিত।
দেওবন্দে পড়ার ন্যায্য দাবীতে মাঠে নামছেন আলেমরা
-আরআর