রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘আওয়ার ইসলামের একটি নিউজে আমার স্বপ্নের সিলেবাস খুঁজে পাই’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উমায়ের আহমাদ: রাজধানীর উত্তরা আয়শা মসজিদে দীনিয়াত বাংলাদেশের উদ্যোগে ৬ দিন ব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ৮ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোর্সের সমাপনী দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত হন এবং শিক্ষা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে পাঠদান পদ্ধতি, শিশু মনোবিজ্ঞান, স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের মানুষদের কীভাবে দীনি ইলম শিক্ষা দিবে সে প্রশিক্ষণ এবং পাশাপাশি শিক্ষকের ইতিবাচক ও নেতিবাচক গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করেন।

৬ দিন ব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী দিনে আলোচনা ও দোয়া আয়োজনে  উপস্তিত ছিলেন, ঢাবির উর্দূ বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরার কিরাত বিভাগের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দীন এবং দীনিয়াত বাংলাদেশের প্রধান মুফতি সালমান কাসেমীসহ আরো ওলামায়ে করাম৷

প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে ইকরা কুরআন সেন্টারের পরিচালক মাওলানা রফিকুর রহমান বলেন, আমি ৩০ বছর যাবত হাদিসের ছবক দিয়ে আসছি। কেন জানি আমার মনে হচ্ছিল আমার ধারা দীনের বুনিয়াদি কাজ হচ্ছে না ৷ সে লক্ষে আমার নিজের বাড়িতে একটি মক্তব প্রতিষ্ঠা করি৷ সে জন্য গঠনমূলক মানসম্মত সিলেবাস খুঁজে পাচ্ছিলাম না ৷ অবশেষে আওয়ার ইসলামের একটি নিউজে আমি স্বপ্নের সেই লক্ষ্য খুঁজে পাই৷

মাওলানা ইয়াসির শফিক নামে আরেক জন প্রশিক্ষক বলেন, মুফতি সালমান সাহেব আমাকে একদিন বলেছিলেন, ‘বুখারী পড়ালেও একজন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ নেয়া খুব জরুরি’ সে কথাটিকে মাথায় রেখেই এখানে আসা ৷

আমি এই প্রশিক্ষণে পেয়েছি নিজেকে একজন আদর্শ শিক্ষক, ভাই ও বাবা হিসেবে গড়ে তোলার অনেক দিকনির্দেশনা ৷ আমি মনে করি দীনিয়াতের এই শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সমাজের একজন আদর্শ মানুষ গড়ার প্রশিক্ষণ৷

কুরআন শিক্ষা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা উমায়ের আহমাদ বলেন, সবার প্রথম আমি নিজে গর্ব করি আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি হিসেবে, কারণ আমার এবং আমার মত অনেকের বহু দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য ৷ একটি নিউজের মাধ্যমে দীনিয়াতের এই প্রশিক্ষণের সন্ধান দেয়ায়৷

আমি যখন জালালাইন পড়ি তখন থেকে একটি জিনিস আমার মনে অনেক পীড়া দিত সেটি হলো, আমরা মাদরাসায় পড়ার কারণে শুদ্ধভাবে কুরআন, হাদিস, মাসাইল তথা ইলামি জ্ঞান শিখতে পারছি ৷

কিন্তু যারা জেনারেল লাইনে যেমন, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে পড়ছে তারা কি শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারছে? আমার মনে হয় ১০০% থেকে ১% মানুষ ও সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারছে না ৷ সেই চিন্তাকে সামনে রেখে আমি তাকমিল শেষে গত চার বছর যাবত নিজেকে কুরআনি খেদমতে নিয়জিত রাখি৷

আলহামদুলিল্লাহ এখন কুরআন শিক্ষা একাডেমি নামে আমার একটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ জনের মত স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী প্রতিদিন কুরআন শিখতে আসে৷

অভিব্যক্তি শেষে আলোচনা করেন দীনিয়াত বাংলাদেশের প্রধান মুফতি সালমান কাসেমী৷ তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শতভাগ উম্মতকে দীন শিক্ষা দেওয়ার লক্ষে ২০১১ সাল হতে বাংলাদেশে দীনিয়াতের কার্যক্রম চলে আসছে৷ প্রায় ৩০০ টির মতো দীনিয়াত মকতবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ে ও বয়স্ক কোর্সে ১০,০০০ মত শিক্ষার্থী পড়ছে৷

ইনশাআল্লাহ অল্প দিনেই আমরা শতভাগ মুসলমানকে বিশুদ্ধ কুরআন ও দীনের মৌলিক বিষয়সমূহ শিক্ষা দিতে সক্ষম হবো৷

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দীনিয়াত বাংলাদেশের প্রধান প্রশিক্ষক, মুফতি নোমান কাসেমী, মুফতি আবু সাঈদ এবং ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী আলেম, মুহাদ্দিসসহ আরো অনেক ওলামায়ে কেরাম৷

বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দীনিয়াত শিক্ষা কারিকুলাম

-আরআর


সম্পর্কিত খবর