রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘সৃজনশীল পদ্ধতি মাদরাসায় পাশের হার কমাচ্ছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আজ প্রকাশিত হলো এসসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। বিগত বছরগুলোতে মাদরাসা বোর্ডের ফলফল তুলনামূলক ভালো থাকলেও গেলো সাত বছরের সর্বনিম্ন পাশের হার লক্ষ্য করা গেছে এ বছর।

যেখানে ২০১৭ সালে মাদরাসা বোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ সেখানে এ বছর তা নেমে ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মাদরাসা বোর্ডের এমন ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে ঢাকার গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মনজুর আহমদ এর সাথে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের বিশেষ প্রতিনিধি বশির ইবনে জাফর

গত সাত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফলে এতো বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে আওয়ার ইসলামকে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সৃজনশীল সাবজেক্ট বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে ফল বিপর্যয় হতে পারে।

তিনি বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতিটা মূলত শিক্ষকরাই কম বুঝেন। শিক্ষকদেরই এখনো সব বিষয়ে পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি যার ফলে ছাত্রদের ঠিকভাবে বিষয়টা বুঝিয়ে দেয়া বা ছাত্ররা বিষয়টাকে পুরোপুরিভাবে আয়ত্ব করতে না পারা একটা বড় কারণ।

তবে এ বছর বেশি খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধে পরীক্ষা কেন্দ্রে আধা ঘন্টা আগে যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত এবং কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত মাত্রায় গার্ডদের কড়াকড়ির ফলে ছাত্ররা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।

মাওলানা মনজুর আহমদের মতে, এসব কারণে সঠিক প্রস্তুতি থাকা সত্বেও ছাত্ররা সেরাটা দিতে পারেনি বা দিতে পারছে না।

মোটকথা এবার প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা ও কড়াকড়ির বিষয় অনেকাংশে ছাত্রদের ভীতির মতো কাজ করতে পারে। যার ফলে পরীক্ষা খারাপ হতে পারে।

আপনি বা কোনো আত্মীয় কি ইন্টারনেট ও মাদকাসক্তিতে ভুগছে?

উল্লেখ্য, এবার দাখিলে ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৭ সালে পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

গত ছয় বছরের মধ্যে এবারই পাসের হার সবচেয়ে বেশি কমেছে। অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় গত বছরেও পাসের হার কমেছিল। এবার এই বোর্ডে পাসের হার ৭০.৮৯ শতাংশ। গতবছর এই হার ছিল ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

এছাড়া ২০১৬ সালে এই হার ছিল ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১৫ সালের ছিল ৯০ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১৪ সালে ছিল ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ছিল ৮৯ দশমিক ১৩ এবং ২০১২ সালে এই হার ছিল ৮৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

মাদরাসা বোর্ডে ফলাফলে বিপর্যয়; ৭ বছরে সর্বনিন্ম

-আরআর


সম্পর্কিত খবর