ওমর ফাইয়ায: সৌদি আরব ও ইয়েমেনের মধ্যকার প্রথম আলোচনা কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। একটি ইয়েমেনি সূত্র আল জাজিরাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে ।
ইয়েমেনের দ্বীপ সুকুত্রায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইয়েমেন সরকারের সাথে পরামর্শ ছাড়াই আরব আমিরাত সুকুত্রা দ্বীপে চারটি মিলিটারি ক্রাফট এবং একশ জনেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করার পর গত শুক্রবার সৌদি প্রতিনিধি দল ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী ওবায়েদ বিন দাঘারের সাথে দেখা করেন।
শুক্রবার ইয়েমেন সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরব আমিরাতের সেনারা সুকুত্রার সাগর ও বিমানবন্দর দখল করে নিয়েছে। ইয়েমেন বলছে এটি আগ্রাসনমূলক কর্মকাণ্ড।
ইয়েমেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নায়েফ আল বাকরি আনাদুলু নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ইয়েমেনের মানুষ কোনো অঞ্চল ছেড়ে দেবে না। ইয়েমেনিরা তাদের ভূমি, দ্বীপ এবং উপকূল রক্ষা করবে। আমরা একটি বালুকণাও ছেড়ে দেবো না।
আরব আমিরাতের জুনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটারে বলেছেন, সুকুত্রার সাথে তার দেশের ঐতিহাসিক ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সেখানকার স্থিতি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য কাজ করবো।
হিফেজের পাশাপাশি English Version সিলেবাসের মাদরাসা
ইয়েমেন সরকারের একটি সূত্র এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছে, আরব আমিরাতের সেনাদের অবতরণ সুকুত্রার স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, এই দ্বীপে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের কেউ নেই যা এই সেনা মোতায়েনকে বৈধতা দিতে পারে।
স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে সুকুত্রার অনেক নারী আবর আমিরাতের উপস্থিতির বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।
সুকুত্রার অধিবাসীদের সংখ্যা ষাট হাজার। দ্বীপটিতে জঙ্গি ও সামরিক বিমান অবতরণের উপযোগী তিন হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে।
আল জাজিরা থেকে ওমর ফাইয়ায এর অনুবাদ
-আরআর