তাওহীদ আদনান, দেওবন্দ থেকে
দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিশে শুরার চলতি শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-১৮ -এর শেষ বৈঠক সমাপ্ত হলো৷ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে ২ দিনব্যাপী মজলিসে শুরার বৈঠক৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গত মজলিসে শুরায় নির্বাচিত নতুন ৫ রুকনে শুরাসহ মজলিশে শুরার অন্যান্য সকল রুকনে শুরাগণ৷
মজলিসে শুরার বৈঠকে দেওবন্দের ভারপ্রাপ্ত নাজেমে তালিমাত মাওলানা আফজাল কিমুরী মাদ্রাসার শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় পেশ করেন৷ পড়ালেখার বাৎসরিক উন্নতি-অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়৷ খতিয়ে দেখা হয় বাৎসরিক পড়া-লেখার রিপোর্ট৷
পড়া-লেখার রিপোর্ট পেশ করার পর এর উপর পর্যালোচনা করেন সবাই৷ সিলেবাসকে আরো যুগোপযুগী করে তোলার পরামর্শ আসে সবার থেকেই৷ অবশেষে সিদ্ধান্তও নেয়া হয় সিলেবাসে কিছু সংযোজন-বিয়োজনের৷
মজলিসে শুরায় দারুল উলুম দেওবন্দের পুরো বৎসরের বার্ষিক হিসাব নিকাশ পেশ করা হয় ৷ পেশ করা হয় মাদরাসার আনুষাঙ্গিক অন্যান্য সকল বিষয়ও৷
এটি বৎসরের শেষ বৈঠক হওয়ায় আগামী বৎসরের নতুন ছাত্রদের ভর্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসে এতে৷ পরে বৈঠকে আগামী বৎসরের নতুন ছাত্রদের ভর্তির ব্যাপারেও নেয়া হয় নতুন পদক্ষেপ৷
জানা গেছে, এবারের মজলিসে শুরার আলোচনায় বিশেষভাবে স্থান পায় হিন্দুস্তানের বর্তমান সময়ে মুসলিম সংক্রান্ত চলমান ইস্যুগুলো৷ মজলিসে শুরায় মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র, বিবিধ মুসলিম ঐতিহ্য নিয়ে কুচক্রী মহলের বাহানা, তিন তালাকের অবৈধ রায় ও বাবরি মসজিদ মামলা ইত্যাদি বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে বিশেষভাবে৷
উল্লেখ্য, দারুল উলুম দেওবন্দ মজলিসে শুরা কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান৷ উক্ত মজলিসে শুরা কতৃক প্রতি বৎসর কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দেওবন্দে৷ পাশাপাশি শাবান মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাৎসরিক একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বৎসর৷ বরাবরের মতো এবারও শাবান মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসেই অনুষ্ঠিত হলো শেষ বৈঠক৷
প্রতিষ্ঠানটির জন্য মজলিসে শুরা কর্তৃক অনুষ্ঠিত সকল বৈঠকের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে বাৎসরিক বৈঠকটি৷ কারণ এ বৈঠকেই পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের পূরো বৎসরের পড়া-লেখা, মাদরাসা পরিচালনা ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য নিয়ম-নীতি নিয়ে আলোকপাত করা হয় বিশেষভাবে৷ পরবর্তী বৎসরের জন্য সকল নিয়ম-নীতিও নির্ধারণ করা হয় এই শেষ বৈঠকেই৷
আরো পড়ুন : খতমে বুখারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দেওবন্দের ফতোয়া
এসএস