আজ ৩মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস।১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই থেকে প্রতি বছর সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়নের লক্ষে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
আওয়ার ইসলামের প্রতিবেদক কাউসার লাবীব তরুণ সাংবাদিক মুফতি এনায়েতুল্লাহর কাছে আজকের এ দিবসটির নানা বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। সে সময় দিবসটি আমাদের কী শিক্ষা দেয়? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, তাদের প্রতি উদারতা প্রদর্শন ও তাদের কাজের সুস্থ অধিকার তৈরির জন্য আজকের দিবসের সূচনা।তাই এ দিবস সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সঠিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান করে।
গণমাধ্যমকে আসলেই কি মুক্তভাবে কাজের অধিকার দেওয়ার উচিৎ? মাসিক আল আশরাফের এ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে মুক্ত মানে স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছে তাই করতে পারা নয়।আমরা আমাদের দেশে স্বাধীন। তাই বলে কি আমাদের দেশের আইন মেনে চলতে হয় না তাকে?
তিনি বলেন, মুক্তভাবে গণমাধ্যমকে কাজ করতে দেওয়া মানে যদি হয়, যা ইচ্ছে তাই করতে দেওয়া, তাহলে এ সুযোগ শুধু গণমাধ্যম নয়, কাউকেই দেওয়া উচিৎ নয়।তাদেরকে মৌলিক বস্তুনিষ্ঠ আইনের মধ্য দিয়েই চলতে হবে।
তাছাড়া আমরা গণমাধ্যমগুলো অবাধে কাজ করার ফলে কি করতে পারে তা আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে দেখেছি।সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছে।
সর্বশেষ তার কাছে জানতে চাওয়া হলে, সাংবাদিকতার অঙ্গনে আলেমদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায় না।বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকার বিস্তার ঘটানোর জন্য আলেমদের, বিশেষ করে তরুণ আলেমদের উপস্থিতি কতটা প্রয়োজন? এবং সেটা কীভাবে করা যেতে পারে? এর উত্তরে তিনি বলেন, সাংবাদিকতার অঙ্গনে আলেমদের স্বল্প উপস্থিতির বিষয়টি আমরা তীব্রভাবে অনুভব করি।কারণ তারা সমাজে এমনিতেই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছে।
তবে তাদের সর্বাত্মক উপস্থিতির জন্য মুরব্বি আলেম যারা আছেন তারা আগ্রহীদের কাজের সুযোগ, সাংবাদিকতার প্রতি উৎসাহ ও সাহস যোগলে তরুণদের উপস্থিতি দিনদিন বাড়বে বলে আশা করছি।
আরো পড়ুন- পূজার ছুটি চেয়ে হিন্দু শিক্ষক পেলেন হজে যাওয়ার ছুটি