কাউসার লাবীব: তাবলিগ জামাতের চলমান সমস্যাকে কেন্দ্র করে প্রশাসন গতকাল সাময়িকভাবে তাবলিগের দুই মুরব্বি ও শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে কাকরাইল মারকাজের বাইরে থাকার নির্দেশ দেন।
প্রশাসনের নির্দেশে কাকরাইল ছেড়ে বর্তমানে মাওলানা যুবায়ের আহমদ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসায় এবং সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ধানমণ্ডী ৭-এর বাসায় অবস্থান করছেন।
দীর্ঘদিনের মায়া আর ভালোবাসার কাকরাইল ছেড়ে কীভাবে দিনাতিপাত করছেন মাওলানা যুবায়ের আহমদ? এ সম্পর্কে তার ছেলে মাওলানা হানযালার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদিন মুতালাআ, পড়াশোনা আর তেলাওয়াতের মাধ্যমে সময় কাটছে তার।
আগে কাকরাইল থেকে রাতে বাসায় ফিরে ঘরের মেয়েদের পড়াতেন। এখন নিয়মিত ঘরে মেয়েদের পড়ালেখা করাচ্ছেন। আর তাবলিগের কোনো সাথী যেন তার সঙ্গে দেখা না করেন সে ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন। এমনকি কাউকে তিনি দেখা করতেও দিচ্ছেন না।
মাওলানা হানযালা আরও বলেন, আব্বাজানের একটাই বক্তব্য, ‘আমি ফেতনা ও ঝগড়ার তাবলিগ করবো না। যতদিন পর্যন্ত তাবলিগের এ অস্থিরতা না কাটবে ততদিন কাকরাইলেও যাবো না।
মহল্লার মসজিদে তাবলিগের কাজ করবো। বাসার পাশে মাদরাসা আছে সেখানে পড়াবো।মহল্লার সাথীদের সাথে দাওয়াতের কাজে জোড়বো ’
আওয়ার ইসলামের সাংবাদিকতা কোর্সে ভর্তি চলছে, যোগাযোগ করুন এখনি
প্রায় কয়েকযুগ ধরে কাকরাইল মার্কাযের আলো বাতাসে সময় কাটাচ্ছেন মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। মতামত ও চিন্তার ভিন্নতার কারণে একমেরুর এ দুই ব্যক্তি আজ যেন দুই গ্রহের বাসিন্দা। তারপরও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের আশা এ সঙ্কট কেটে যাবে। বেশি দিন থাকবে না।
কাকরাইল ছেড়ে কেমন কাটছে? কীভাবেই বা সময় পাড় করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, ‘নফল নামাজ পড়ছি, কুরআন তেলাওয়াত করছি, সাথীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। সাথীরাও সাক্ষাতে বা ফোনে যোগাযাগ রক্ষা করছেন।’
এছাড়া সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার বাসার পাশে অবস্থিত বায়তুল আমান জামে মসজিদে গাশতসহ দাওয়াতের নানা আমলে যুক্ত হবেন বলে জানান আওয়ার ইসলামকে।
আরও পড়ুন
কাকরাইল মারকাজের অবস্থা থমথমে; পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দুই পক্ষের
কাকরাইল মারকাজ ছাড়তে হচ্ছে মাওলানা জুবায়ের ও ওয়াসিফকে
‘কাকরাইলে যা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক’
কার্যক্রম স্বাভাবিক; ভেতরে চাপা ক্ষোভ