আওয়ার ইসলাম: বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাস করতে রাজী না হওয়ায় নবম শ্রেণির ৩২ শিক্ষার্থীকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল ও কলেজে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।
এভাবে টিসি দেওয়ার প্রতিবাদে ২৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে শিক্ষারর্থী এবং অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষক আবজাল হোসেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জগদিশ পাল সহ অন্যান্য সদস্যদের অপসারণ দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল ও কলেজের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি নিষেধ রয়েছে। এরপরও প্রতিমাসে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং ফি হিসেবে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
এই কোচিং ফি এর সিংহভাগই প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির পকেটস্থ হয়। যাদেরকে টিসি দেওয়া হয়েছে তারা এত টাকা কোচিং ফি দিতে অস্বীকার করায় তাদেরকে ২৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয় প্রধান শিক্ষক আবজাল হোসেন।
শিক্ষার্থীরা এ কোচিং অবৈধ এবং প্রতি মাসে এত টাকা দিয়ে কোচিং করা তাদের পক্ষে অসম্ভব জানায়। এজন্য হিমেল, মনির, শিপন, ফারুক, জোবায়ের, সাইফুল, রাজু, সুজন সহ ৩২ জন শিক্ষার্থী ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার কোচিং ক্লাস না করায় দুপুরে তাদেরকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়া হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জগদিশ পাল টিসি দেবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
এইচজে