আওয়ার ইসালাম: ফেনী শহরের অদূরে অবস্থিত জামেয়া ইসলামিয়া সোলতানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, শাইখুল হাদিস , হাকিমুল ওলামা, পীরে কামেল মুফতি সাঈদ আহমদ রহ. এর জানাজার নামায লালপোল মাদরাসা প্রাঙ্গনে মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা তৈয়্যব সোলতানির ইমামতিতে সোমবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হয়।
মাদরাসার জামে মসজিদের পার্শে হযরতকে চির নিদ্রায় সমাহিত করা হয়। লালপোলের পীর সাহেব হুজুরের ইন্তেকালের খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লাখো জনতার ঢল নামে লালপোল অভিমূখে। হযরতকে এক নজর দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে উপচেপড়া ভিড় ছিল দিন ব্যাপী।
হযরত ৭০ বৎসর বয়সে ৫জন ছেলে, ৭ জন মেয়ে, লক্ষ লক্ষ ছাত্র, ভক্ত, মুরিদানদেরকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ইহধাম ত্যাগ করেন। গতকালের ঐতিহাসিক জানাজার জামাত সে জনপ্রিয়তার স্মৃতি বহন করেছে।
মাদরাসার ভবনগুলোর প্রতিটি তলা, মাঠ, মাদ্রাসার এরিয়া, পূর্ব দিকে লালপোল বাজার , বিশ্ব রোড ও চতুর্দিকে প্রায় দুই কি. মি. বৃস্তৃত এলাকা জুড়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
ইলমে শরিয়ত ও মারেফাতের সাচ্চা রাহবার মুফতি সাঈদ আহমদ সাহেবের জানাজার নামাজে অংশ গ্রহনকারীদের সিংহভাগ ছিলেন ওলামায়ে কেরাম। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন মাওলানা নুরুল ইসলাম আদিব , ওলামা বাজার মাদরাসা।মাওলানা আহমদ শফি (হাটহাজারী) এর প্রতিনিধি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
মাওলানা আব্দুল হালীম বোখারী (পটিয়া) এর প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল জলিল কওকব। চরমোনাই পীর সাহেবের প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ। মাওলানা ছালাহ উদ্দিন নানুপুরী। মাওলানা আরশাদ সাহেব, বসুন্দরা। মাওলানা সোলতান যওক নদভীর প্রতিনিধি মাওলানা ফোরকানুল্লাহ। মাওলানা মুফতি হাবীবুর রহমান, ফুলগাজী। মাওলানা মুফতি আবু সাঈদ , ফরিদাবাদ।
মাওলানা হোছাইন আহমদ, সাহেবজাদা নানুপুরী। মাওলানা মুফতি শহিদুল্লাহ , জামেয়া রশিদিয়া ফেনী। মাওলানা মুফতি আহমদুল্লাহ, জামেয়া মাদানিয়া ফেনী। মাওলানা হারুন বোখারি , ঢাকা। মাওলানা ফরিদউদ্দিন আল মোবারক, ফেনী। মাওলানা আশেকুর রহমান কাসেমী, ঢাকা। মাওলানা মুশতাকুন্নবী, কুমিল্লা। মাওলানা আব্দুল্লাহ গোপালগন্জ। মাওলানা আব্দুল মান্নান দানীস, পটিয়া। মুফতি হোছাইন , নানুপুর।
মাও. ইউসুফ , জামেয়া উসমানিয়া চাটখিল। মাও. কাসেম, খতিব জহিরিয়া মসজিদ ফেনী। মাও. রুহুল আমিন, ছাগলনাইয়া। মাও. মঈন উদ্দিন নিচিন্তাপুরী। মুফতি নোমান কাসেমী, ঢাকা। মাও. ছানাউল্লাহ , ঢাকা প্রমূখ।
হযরত হাকীমুল ওলামা শুধু সোলতানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন না বরং বাংলাদেশের প্রায় দুইশত মাদরাসার মুরুব্বী বা প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। হযরতের ইন্তেকালের সাথে সাথে সোলতানিয়ার মজলিশে শুরার সকল সদস্যবৃন্দ পরামর্শ করে হযরতের মেঝো ছেলে মাও. কাসেমকে হযরতের মাদরাসার মুহতামিম নিযুক্ত করেন।
আরো পড়ুন- সৌদি বিমান হামলায় হুথি জোটের রাজনৈতিক প্রধান নিহত