আওয়ার ইসলাম : মাঝরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে ‘বের করে দেওয়া’ তিন ছাত্রীকে হলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই তিন শিক্ষার্থী হলে ফিরেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়ার পর ওইদিন রাতেই বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারাও ঘটনাস্থলে যান। তারা সেখানে শুক্রবার বিকেলে দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ হয়। সেখান থেকে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সবিতা রেজওয়ানা রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আলটিমেটাম দেওয়া হয় এবং একই সঙ্গে বের করে দেওয়া শিক্ষার্থীদের অতি দ্রুত হলে সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত চারজন আবাসিক ছাত্রীর অভিভাবককে হলে ডাকা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে অভিভাবকদের মাধ্যমে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই চার শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন প্রশাসন কেড়ে নেয়।
মেয়েদের কেন মধ্যরাতে হল থেকে বের করে দেওয়া হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সাবিতা শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেলেন, ‘আমরা কোনো মেয়েকে বহিষ্কার বা সিট বাতিল করি নাই। তাদের অভিভাবক তাদেরকে হল থেকে নিয়ে গেছেন। তারা আজকে আবার হলে ফিরে এসেছে। আজকে আমাদের হলের সাথে বঙ্গমাতা হলের ফুটবল খেলা ছিল। ওই মেয়েগুলার দুইজন আবার আমার হলের খেলোয়াড়। তারা আজকে খেলেছে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর প্রাধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রীদের বহিষ্কারের হুমকিও দেন সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।
ছাত্রীরা ক্রাইম (অপরাধ) করছে বলে দাবি করতে শোনা গেছে, এমন অভিযোগ সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘এটা কিন্তু আমার নলেজের বাইরে আমার ভিডিও যে আপলোড করে, এটা কিন্তু ক্রাইম। যেদিন আমার বক্তৃতা তোমরা আপলোড করেছ, আমি সেদিন পর্যন্ত চুপ ছিলাম। আজকের পরে আমি বলে দিলাম, দিস ইজ সাইবার ক্রাইম। নলেজের বাইরে কেউ যেন তোমাকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। ঠিক আছে না?’
প্রাধ্যক্ষের এমন আচরণে ঢাবিসহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার বিরুদ্ধে নানান কথা উঠছে। তাকে নিয়ে ইউজাররা বিভিন্নরকম মন্তব্য-সমালোচনাও করতে দেখা গেছে।
এসএস
আরো পড়ুন : ইরাক যুদ্ধের পনেরো বছর; প্রতিশ্রুতি বনাম প্রাপ্তি