শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ইসলামি খেলাফতের পতনে যে ধ্বংসলীলা দেখতে হয়েছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: মহানবী সা. এর ইন্তিকালের পর শুরু হয় খেলাফত। খেলাফত বা Caliphate সরকারের ইসলামি রুপ যা মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক একতার প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধরণের শাসন ব্যবস্থার সরকার প্রধানকে খলিফা বলা হয়। ইসলামের পরিভাষায় বলা হয় “খলিফাতু রাসূলুল্লাহ বা Successor of Messenger of God বা খলিফা (Caliph)”।

১৯২৪ সালের ৩ মার্চ পতন হয়েছে উসমানি খেলাফতের ।ইতোমধ্যেই তিরানব্বই বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে খেলাফত পতনের।

মুসলিম বিশ্বে চালানো গণহত্যার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ১৯২৪এর পর সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন দখল করল সন্ত্রাসী ইহুদিরা । এতে এ যাবত আনুমানিক শহিদ হয়েছেন, ১৯ লাখ মুসলমান । উদ্বাস্তু হয়েছেন প্রায়৫০ লাখ মুসলমান ।

১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয় তখন নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি মুসলমান । ইটালি লিবিয়া আক্রমণের সময় শহিদ হন প্রায় ৫ লাখ মুসলমান ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্মের সময় নিহত হয়েছেন আরো  প্রায়  পনের-বিশ লাখ মুসলমান। চেচনিয়ায় এ যাবত শহিদ ৫ লাখ মুসলমান।বসনিয়ায় ১০ লাখ।বার্মায় ১৫ লাখ মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে রাশিয়া-আমেরিকা মিলে ২৫ লাখ মুসলমানকে হত্যা করেছে এ ৯৩ বছরে। ইরাকে ইরান- আমেরিকার সাথে কয়েকবারের লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি ।

জিংজিয়াংয়ে ১৫ লাখ। ফিলিপাইনে ৫ লাখ মুসলিম নিধন হয়েছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৩০ লাখের মতো শহিদ হয়েছেন মুসলমান ।

কাশ্মিরে ৫ লাখ আর ভারতে  ১০ লাখ। বুলগেরিয়া, কসাভো, আলবেনিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরো ১০ লাখ মুসলমান শহিদ হয়েছেন। সিরিয়ায় বাশারের বাবা হাফিজের আমল থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ মুসলমান শহিদ হয়েছে।

এছাড়া ইয়েমেন, লেবানন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে পাখির মতো গুলি করে প্রতি নিয়ত মুসলমানদের জান কবজ করছে। ১০ লাখেরও বেশি হবে এ শহিদদের কাতার।

খেলাফত পতনের পর ৯৩ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যা হলো প্রায় আড়াই কোটি, উদ্ধাস্তু আনুমানিক ৫০ কোটি । হারানো মুসলিম ভূ-খণ্ড হলো ফিলিস্তিন, পুর্বতুর্কিস্তান (জিংজিয়াং), মিন্দানাও, দক্ষিণ সুদান, পুর্ব-তিমুরসহ আরো অনেকভূমি ।

রাসূল সা. এর ইন্তেকালের পর ধারাবাহিকভাবে প্রায় সোয়া তেরোশ বছর পর্যন্ত খেলাফত ছিল । মধ্যখানে একবার তাতারীরা যখন বাগদাদে অবস্থিত আব্বাসি খিলাফত ধ্বংস করেছিল তখন ১২৫৮ – ৬১পর্যন্ত মুসলমানদের কোনো খলিফা ছিলেন না ।

এই সাড়ে তেরশ বছরে মুসলমানদের যেসব রক্তপাত হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য খেলাফতে রাশেদার আমলে এবং উমাইয়া আমলে বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক দেড় লক্ষ । ক্রুসেডাররা বায়তুল মুকাদ্দস দখলের সময় ১ লক্ষ এবং পরবর্তী লড়াইয়ে আরো ২ লক্ষ । তাতারি সয়লাবে বোখারা, সমরকন্দ, সিরাজ, বাগদাদ এবং দামেস্কে অনুমানিক ৫০লক্ষ । স্পেনে ২০ লক্ষ । আরো বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক আরো ৫০ লক্ষ । তাহলে বোঝা যায়, খেলাফত থাকাকালে সোয়া তেরোশ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যাহচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ।

ভু-খন্ড হারিয়েছি স্পেন । আবার ইসলামের ছায়াতলে এসেছে স্পেন এবং ইউরোপের দানিয়ুব নদী পর্যন্ত এবং বর্তমান মুসলিমবিশ্ব ।

আর খেলাফত ছাড়া মাত্র ৯০ বছরে আমাদের নিহতের সংখ্যা হলো আড়াইকোটি । বিজয় করেছি শূন্য (০) ভুমি। হারিয়েছি অসংখ্য মুসলিম ভূ-খণ্ড । এভাবেই ক্রমে নিভে গেছে ইসলামি খিলাফত । আর তার সঙ্গে হারিয়ে গেছে েইসলামি ঐতিহ্য।

সূত্র : উইকিপিডিয়া, মুসলিম ইঙ্ক
আরো পড়ুন : লেবানন ইতিহাসের রাজসাক্ষী আনজার দূর্গ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ