তাওহিদ আদনান, ইন্ডিয়া থেকে
দিল্লির নিজামুদ্দিনের বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের সাথীদের বিশেষ জোড় শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল। এ উপলক্ষ্যে আলেম উলামাদের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও জোড়ে অংশ নিতে নিজামুদ্দিন যাচ্ছেন বাংলাদেশি সাথীরা।
জানা গেছে, আগামী ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া জোড় শেষ হবে ১৬ এপ্রিল। তিনদিনের জোড় উপলক্ষে নিজামুদ্দিনে দেখা গেছে ভিন্ন আমেজ। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ২ থেকে আাড়ই হাজার সাথী জড়ো হয়েছেন নিজামুদ্দিনে।
এছাড়াও নিজামুদ্দিনে যাওয়ার জন্য কলকাতার কুলুটোলা মসজিদে অপেক্ষা করছন ১ হাজার থেকে ১২০০ সাথী।
জোড়ে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে তাবলিগের সাথীরা বাস, ট্রেন ও আকাশ পথে আসছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ ও পাবনা জেলা থেকে কয়েকশ সাথী নিজামুদ্দিনে পৌঁছেছেন।
জোড়ে মাওলানা সাদের অনুসারী বাংলাদেশের শুরা সদস্যরা অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই মাওলানা মোশাররফ হোসাইন নিজামুদ্দীনে পৌঁছেনে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান সাহাবুদ্দীন নাসিমও এ জোড়ে অংশ নিবেন বলেও জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি।
তাবলীগের মুব্বিদের বয়ান ও কিতাবের অ্যাপ ইসলামী যিন্দেগী ইনস্টল করুন আপনার মোবাইলে
এদিকে মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার ও ভুল সংশোধন না হলে চলমান জোড়ে বাংলাদেশের সাথীদের অংশ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল আলেম উলামাগণ।
তাবলিগ জামাতের আলেম উপদেষ্টাদের মতও ছিল এমনটিই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমে দীন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী এক চিঠিতে নিজামুদ্দিনের এ জোড়ে বাংলাদেশের সাথীদের অংশ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক মসজিদে তাবলিগ বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলেমদের বৈঠকেও এমন আহ্বানই করা হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ বাহাদুর শাহ পার্ক মসজিদে তাবলিগ জামাতের উপদেষ্টা আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল- ‘বর্তমান সঙ্কট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিজামুদ্দিন থেকে কোনো জামাত বা কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আগমন করা কাজের জন্য মুনাসিব নয়।
তাই বাংলাদেশের কোনো হালকা/এলাকা/মসজিদে তাদের জামাতকে (উলামায়ে কেরামগণের পরামর্শ ব্যতিত) এস্তেকবাল না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
কিন্তু সব আহ্বান ও নির্দেশনা উপেক্ষা করেই বাংলাদেশের সাথীরা দিল্লিতে যাচ্ছেন।
এদিকে নিজামুদ্দিনের সাম্প্রতিক বয়ানগুলোতে অন্যসব বিষয়ের চেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে আমিরকে মানা ও তাকে অনুসরণের গুরুত্ব। মুন্তাখাব হাদিসের তালিম আর ছয় উসুলের বয়ান অন্য সময়ের চেয়ে কমে এসেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাবলিগের চলমান সঙ্কট নিরসনের বদলে সঙ্কট আরও কঠোর পর্যায়ে চলে যেতে পারে এ জোড়েরর পর।
তাবলিগ ও মাওলানা সাদ বিষয়ে আলেমদের ৫ সিদ্ধান্ত
আরআর