আওয়ার ইসলাম: আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা যেহেতু কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য নয় বরং সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে, তাই তাদের উপর শক্তি প্রয়োগটা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।
ছাত্র আন্দোলনকে অবজ্ঞা করাটা অদূরদর্শিতাও বটে। এক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ সমাধান অপরিহার্য, সমাধানের চেষ্টা না করে উল্টো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।
আজ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আবদুল মু’মিন ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কোটা পদ্ধতিকে সংকুচিত করে মেধাবীদের একটু বেশি সুযোগ দেওয়া হলে এক দিকে যেমন মেধার মূল্যায়ন হবে অপর দিকে দক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত হবে।
এদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী অপর এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
মেধার বিষয়টি গৌণ হয়ে কোটার বিষয়টি যদি মুখ্য হয় তাহলে এটা মেধা বিকাশের অন্তরায় এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর অবিচার।
বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে কোটার পরিমাণ কমানো হলে তাতে কারো অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই।
নেতৃদ্বয় সরকারকে ছাত্র জনতার দাবীর প্রতি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমানো যায় না।
তারা আরো বলেন, ভিসির বাসভবনে আসবাপত্র ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনা আদর্শ ছাত্রদের থেকে জাতি কখনো আশা করে না।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরা কি হেরে যাবে?