আবরার আবদুল্লাহ : সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিহার দাঙ্গায় ইমাম রাশেদির মতো অনন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হিন্দু ডাক্তার অশোক কুমার মিসরা।
তিনি নিজ ঘরে অন্তত ৭০ জন মাদরাসা শিক্ষার্থীকে আশ্রয় দিয়ে জীবন রক্ষা করেন।
যেদিন উগ্র হিন্দুরা মুসলিম হত্যার উল্লাসে মেতে উঠেছিল সেদিনই তাদের সবক দিল আরেক হিন্দু।
গত ২৫ মার্চ বিহারের রাম নবমি অঞ্চলে এ দাঙ্গা সংগঠিত হয়। ৫ দিনব্যাপী দাঙ্গায় বহু মুসলিম হতাহতের শিকার হন। বিহারের ইমাম রাশেদির ছেলেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হত্যা করে কলিজা বের করে আনে। কিন্তু ইমাম রাশেদি তাদের ক্ষমা করে দেন।
দাঙ্গা চলাকালীন সময়ে ২৭ মার্চ রোসারা গ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণ করে। এতে অংশ নেয় ৩ হাজার হিন্দু যুবক। তারা গ্রামের জিয়াউল উলুম মাদরাসায় আক্রমণ করে। মাদরাসায় প্রায় ৭০-৮০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ছিলেন।
মাদরাসায় আক্রমণ হলে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ডাক্তার অশোক কুমার মিসরার ঘরে আশ্রয় নেয়। এতে প্রাণ রক্ষা পায় তাদের।
মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নাজির আহমদ নাজভি বলেন, আমরা যখন দেখলাম আক্রমণকারীরা মাদরাসার দিকে আসছে গেট বন্ধ করে দিলাম। কিন্তু গেট ভাঙ্গতে তাদের ২০-২৫ সময় লাগে।
এ সময়টুকু ছিলো অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা এ সময়ের মধ্যে ডাক্তার অশোক কুমারের বাড়িতে আশ্রয় নেই।
ডাক্তার অশোকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি আমাদের আশ্রয় না দিলে পরিমাণ কি ভয়াবহ হতো তা কল্পনাও করা যায় না। এই শিশুদের জীবন রক্ষা যেতো না। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এদিকে ডাক্তার তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, জীবন রক্ষা পাওয়া নিষ্পাপ শিশুদের মুখে যে হাসি পেয়েছি তা আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
ডেইলি সিয়াসাত থেকে আবরার আবদুল্লাহ-এর অনুবাদ
আরও পড়ুন: ইমাম রাশিদির শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বব্যাপী