আবদুল্লাহ তামিম: আল্লাহ তায়ালা চাইলে মানুষকে অর্থ-কড়ি দান করেন। চাইলে দান করেন না। ইসলামে সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে কৃপণতা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি প্রাচুর্যের সময় অপচয় অপব্যয় করে সম্পদ খরচ করাও নিষিদ্ধ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অপচয় ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে ইরশাদ করেছেন, তোমরা আহার এবং পান করো, আর অপচয় করো না; তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না (সূরা আরাফ-৩২)
রাসুল সা. হাদীস থেকে এটা আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, উত্তম দান তাই, যা নিজ অভাবমুক্ততা রক্ষার সঙ্গে হয়। (বুখারি-২/১১২) কৃপণ না হয়ে ইসলাম নির্দেশিত খাতে খরচে কোনো রকম দ্বিধা না করে, হারাম পথে খরচের সব পথ বন্ধ করে দিয়ে; অপচয়-অপব্যয় না করার মাধ্যমে মিতব্যয়ী হলে দারিদ্র্যমুক্ত জীবন আল্লাহ তাকে দান করবেন।
এটা রাসুলে কারিম (সা.)-এর ভবিষ্যতবাণী। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলে কারিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পরিমিত ব্যয় করে সে নিঃস্ব হয় না। (মুসনাদে আহমাদ-৭/৩০৩)
অপচয় ও কৃপণতা দু’টোই ইসলামে নিষিদ্ধ। মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা ইসলামের শিক্ষা। যারা অপচয় এবং কৃপণতার পথ পরিহার করে মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করবে আল্লাহ তাদেরকে নিজের বান্দা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তার সাথে সাথে তার পরিবার সন্তান সন্তুতির জন্য ভবিষ্যতে দুনিয়ায় টিকে থাকতে সঞ্চয়ের কথাও বলেছেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, (আল্লাহর বান্দা তো তারাই) যারা অপব্যায়ও করে না আবার কৃপণতাও করে না। তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী (সূরা ফুরকান-৬৭)
আরো পড়ুন- সন্তানকে ইসলামের সঙ্গে পরিচিত করুন : আবুল হাসান আলী নদভী